Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Mamata Banerjee

Government Scheme: প্রকল্পের উপভোক্তা বাছবে সরকারই

তফসিলি জাতি পরামর্শদাতা সংসদের বৈঠকে মমতা জানান, তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং আদিবাসীদের জন্য ২০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করবে সরকার।

দায়িত্ব সরকারের

দায়িত্ব সরকারের ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২১ ০৬:০২
Share: Save:

দুয়ারে সরকার বা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন তিনি। এ বার প্রকল্পের উপভোক্তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও সরকারি হাতে রাখার
বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষেবা দেওয়ার প্রশ্নে বিধায়কদের উদ্দেশে ‘ওরা-আমরা’ বিভাজন না করার পরামর্শ যেমন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই মতুয়া-প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিতেও ছাড়েননি তিনি।

বুধবার তফসিলি জাতি পরামর্শদাতা সংসদের বৈঠকে মমতা জানান, তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং আদিবাসীদের জন্য ২০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করবে সরকার। যাঁরা এখনও মাটির বাড়িতে থাকেন তাঁরা এই প্রকল্পে অগ্রাধিকার পাবেন। তবে এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের বেছে নেবে সরকার নিজেই। মমতার কথায়, “সরকার নিজে সমীক্ষা করবে। দরকার হলে আমরা ড্রোন দিয়ে সমীক্ষার কাজ করব। তাতেই কোথায় মাটির বাড়ি আছে, কোথায় কী আছে তা জানতে পারব।”

যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ এত গরিব যে, তাঁদের পাকা বাড়ি তৈরির ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে সকলের মাথায় পাকা ছাদ থাকুক। তাই তিনি প্রকল্প দিয়েছেন। কেন্দ্রের পাঠানো বাড়ি প্রাপকদের তালিকা থেকে অনেকের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ রাজ্যে।”

অতীতে সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শাসক দলের বিরুদ্ধে ‘ওরা-আমরা’ বিভাজনের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের অনুমান, সেই অভিযোগ আবারও উঠুক, তা আর চাইছে না নবান্ন। কারণ, এ দিনই বিধায়কদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেছেন, “নিজেদের ত্রুটিটা সংশোধনের চেষ্টা কর। তুমি যখন বিধায়ক, তখন তুমিই মানুষের নেতা। কে তোমার লোক, কে ওর লোক, তা দেখার দরকার নেই। তুমি কাউকে এ-বি-সি-ডি করবে না।”

তবে দুয়ারে সরকারের আবেদনপত্র ছাপিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ বিরোধীদের উপর চাপিয়েছেন মমতা। মতুয়া রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে নাম না করেও কার্যত বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মতুয়াদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সব করে দিয়েছি। কেউ কিছু করে না, নির্বাচনের সময় প্ররোচনা দেয় এবং মিথ্যা
বলে। ঠাকুরবাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ যেত না। বড়মাকে ২০-৩০ বছর ধরে কে দেখেছে? কীসের নাগরিক শংসাপত্র দেবে? তারা তো ভোটার। আমাদের পার্টি নয়, অন্য পার্টি, যারা বড় বড় কথা বলে আর ভোটে হারে, তারা পার্টি অফিস থেকে ফর্ম বিলি করেছিল। বিক্রি করা হয়েছিল

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Government Schemes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy