দিল্লি যাওয়ার আগে বুধবার বিমল গুরুংয়ের মন্তব্যে পাহাড়ের রাজনীতিতে কি নয়া মোড় এল? উঠছে প্রশ্ন। —ফাইল ছবি।
বিজেপির সঙ্গে নেই তিনি। পাহা়ড়ের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে যে দল তাদের দাবির পক্ষে লড়াই করবে, তাদের পাশেই থাকবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বুধবার দিল্লি যাওয়ার আগে এমনই দাবি করলেন গোর্খা সভাপতি বিমল গুরুং। স্বাভাবিক ভাবেই গুরুংয়ের এই মন্তব্যে আবার সরগরম পাহাড়ের রাজনীতি৷ যদিও গুরুংয়ের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
কী কারণে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি, তা জানাননি গোর্খা সুপ্রিমো। তবে দিল্লি যাওয়ার আগে বুধবার তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি বিজেপির সঙ্গে নেই। যারা আমাদের দাবি নিয়ে লড়াই করবে, আমি তার সঙ্গেই থাকব।’’ তবে কিছু দিন আগেও বিজেপির বেশ কিছু নেতার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল গুরুংকে। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। তবে দিল্লি যাওয়ার আগে বুধবার বিমলের এই মন্তব্যে পাহাড়ের রাজনীতিতে কি নয়া মোড় এল? উঠছে প্রশ্ন। যদিও বিস্তার মন্তব্য, ‘‘বিমল কী বললেন, কোথায় গেলেন, আমাকে জানিয়ে যাননি। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কেন্দ্র যথেষ্ট সহানুভূতিশীল।’’
পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে জুনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই বৈঠক হলে সেখানে পাহাড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও তাতে কতটা চিঁড়ে ভিজবে, তা এখনই বলা কঠিন। বুধবার বিমল বলেন, ‘‘মোর্চা এখন একটু ঢিমেতালে চলছে ঠিকই। কিন্তু পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে আমাদের। তবে পাহাড়ে আগের মতো রাজনৈতিক পরিবেশ নেই।’’
অন্য দিকে, বুধবার দার্জিলিং আসেন বিস্তা। তাঁর দাবি, ‘‘পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কেন্দ্র সরকার সচেষ্ট। তাই কে কী বললেন, তা ভেবে লাভ নেই। আমাদের লক্ষ্য, পাহাড়ের সমস্যার সমাধান। তবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কী আলোচনা হবে, আর কারা থাকবেন, তা ঠিক করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy