সম্প্রতি কলকাতায় এসে গোয়ার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেরিও-সহ একঝাঁক কংগ্রেস নেতা তৃণমূল যোগ দিয়েছেন। নিজস্ব চিত্র
গোয়ায় তৃণমূলের উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত গোয়ার কংগ্রেস সভাপতি ফোন করলেন বাংলা কংগ্রেস নেতাকে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়া বিধানসভার ভোট। আর সেই নির্বাচনে একক ভাবে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার শাসক দলের এমন পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন গোয়ার কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা গোয়ার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেরো-সহ বহু কংগ্রেস নেতা ইতিমধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়ে কাজ শুরু করেছেন গোয়ায়। পশ্চিমের এই রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে তৃণমূলে যোগদান করানোর কাজও গতি পেয়েছে। আর তৃণমূল নেতৃত্বের এমন গতিময় পদক্ষেপ দেখে সম্প্রতি গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরিশ সি ফোন করেন পশ্চিমবঙ্গের এক কংগ্রেস নেতাকে।
সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে গোয়ায় তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতি যে কংগ্রেসকে বেজায় চাপে ফেলতে পারে, সেই বিষয়ে বাংলার কংগ্রেস নেতাকে বলেন গিরিশ। গোয়ার সভাপতিকে বিষয়টি এআইসিসি নেতৃত্বকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ওই কংগ্রেস নেতা। বিষয়টি জানতে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বাংলার নেতাকে ফোন করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে গোয়ায় তৃণমূলের উপস্থিতি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
তবে গোয়ার ভোটে তৃণমূল যে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কেই থাবা বসাতে পারে, তা মেনে নিয়েছেন গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি। গিরিশ বলেন, ‘‘আমরা বুঝেছি তৃণমূল গোয়ায় কংগ্রেসের ভোট কাটতেই এসেছে। আমাদের রাজ্যের মানুষ তাঁদের এই প্রয়াস কখনওই সফল হতে দেবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি সত্যি সত্যিই তৃণমূল গোয়ায় রাজনীতি করতে চাইত তাহলে ভোটের সময় না এসে, দু’তিন বছর আগে থেকে রাজনীতির ময়দানে নামত।’’ সম্প্রতি গোয়া ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এআইসিসি-র প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরমকে। তাঁকেও গোয়ার কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তিনিও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন বলেই গোয়া কংগ্রেস সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy