জ্বলছে বাস। তার মধ্যেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পুলিশের। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাঁদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিক্ষোভকারীরা একাধিক বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে তার। দেহে আঘাত বা যৌন হেনস্থারও কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই এমনটা জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি ওই কিশোরীর পরিবার।
চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চতুরাগছ এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাড়ি থেকে জোর করে বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। বাড়ির পাশেই একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোরীকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর পাঠান। ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এর পর থেকেই কার্যত গোটা এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। প্রচুর মানুষ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে জমায়েত হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশও পাল্টা তাড়া করে উত্তেজিত জনতাকে। তার মধ্যেই জাতীয় সড়কে কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধ চলবে।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক চ্যানেলেই পাচার ২৩০ কেজি সোনা! প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা
আরও পড়ুন: গলহৌতের রাজভবন যাত্রার পর আস্থাভোট জল্পনা রাজস্থানে
চোপড়া এলাকা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অবিলম্বে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের দাবিও তুলেছেন। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অনুপ্রবেশ, অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে গেলেও রাজ্য প্রশাসন তাতে গুরুত্ব দেয়নি। শাসক দলের ছত্রছায়াতেই দুষ্কৃতীদের এই বাড়বাড়ন্ত বলেও অভিযোগ করেছেন রাজু বিস্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy