Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Surjya Kanta Mishra

বুথে লড়াই জরুরি, বার্তা দিল সিপিএম

কোভিড পরিস্থিতির জেরে সিপিএমের বিগত রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে আসতে পারেননি উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা।

রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।—ছবি সংগৃহীত

রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।—ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৫:৪৪
Share: Save:

রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে এখনই নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং তার জরুরি অঙ্গ হিসেবে বুথ স্তরে কমিটি গড়ার কাজ শুরুর বার্তা দেওয়া হল সিপিএমে। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মতে, করোনা এবং আমপান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থক এবং বাম মনোভাবাপন্ন লোকজন যে ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার রেশ ধরে রেখেই বুথ স্তরে সংগঠনকে নিয়ে যেতে হবে।

কোভিড পরিস্থিতির জেরে সিপিএমের বিগত রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে আসতে পারেননি উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা। তার পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্যসমাপ্ত বৈঠকে যে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ উঠে এসেছে, তার নির্যাস নিয়ে এ বার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির জন্য বুধবার এমনই ডিজিটাল সভায় সূর্যবাবু বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সমাবেশ বা বড় বড় মিটিং-মিছিল এই করোনা পরিস্থিতিতে করা যাবে না। সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত স্তরে যে ভাবে দাবি-দাওয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটাকেই বুথ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। আসল লড়াইটা বুথেই হয়। সেখানে মানুষের পাশে থাকতে হবে।’’ সেই সঙ্গেই দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি রাজ্য সম্পাদকের বার্তা, ‘‘সরকারের পরিবর্তন না করতে পারলে রাজ্যের অবস্থার পরিবর্তন হবে না, এটাও এখন বোঝা যাচ্ছে।’’

সাংগঠনিক ভাবে এখন তরুণ প্রজন্মের দিকেই নজর দিচ্ছে সিপিএম। সূর্যবাবু এ দিনও ব্যাখ্যা করেছেন, করোনা এবং আমপান-এর ত্রাণের কাজে যাঁরা এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের বড় অংশের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে। এই তরুণ প্রজন্মকে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করার কথাই বলছেন সিপিএম নেতৃত্ব। করোনা পরিস্থিতির জন্যই দলের নিচু তলার সম্মেলন আপাতত হচ্ছে না। এই সময়ে সংগঠনে তরুণ মুখ বাড়ানো এবং বুথ কমিটি প্রসারিত করায় জোর দিচ্ছেন সূর্যবাবুরা।

কেন্দ্রীয় কমিটির বেঁধে দেওয়া কর্মসূচি মেনেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে দেশব্যাপী আগামী ২০ থেকে ২৬ অগস্ট প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করবে সিপিএম। ‘দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচি আছে ৯ অগস্ট। ট্রেড ইউনিয়নের পাশাপাশি কৃষক সংগঠনগুলিও সে দিন পথে নামবে। রাজ্যে ২১টি কৃষক সংগঠনের সমন্বয় কমিটি (কেএসসিসি) এ দিন অনলাইন বৈঠকের পরে বলেছে, অপরিকল্পিত লকডাউন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে কৃষক ও গ্রামীণ কৃষকদের হাল সঙ্গিন। এই সব প্রতিবাদের আগে কাল, শুক্রবার বাম ও কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি আছে। নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে ফোনে ওই কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেছেন দলের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। ভিড় এড়াতে অল্প লোক নিয়ে দলীয় দফতরগুলির সামনে বা অন্যত্র কাল যৌথ কর্মসূচি হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy