Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

কচুয়ার মেলা নিয়ন্ত্রণের ভার নেবে সরকার: মমতা

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরের প্রবেশপথের কাছে পুণ্যার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। যাঁদের এসএসকেএম-এ আনা হয়, তাঁদের দেখতে শুক্রবার সকালে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৯
Share: Save:

কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরে দুর্ঘটনার জন্য লোকনাথ মিশনকেই দায়ী করল রাজ্য সরকার। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতারও। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে এর পর থেকে কচুয়ার মেলা সরকারি পরিকল্পনায় করা হবে। অন্য দিকে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, সরকার আগাম ব্যবস্থা করেনি কেন? এ সবের পাশাপাশি দিনভর চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরের প্রবেশপথের কাছে পুণ্যার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। যাঁদের এসএসকেএম-এ আনা হয়, তাঁদের দেখতে শুক্রবার সকালে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘চাকলায় খুব ভিড় হয়, সেখানে সব ব্যবস্থা নেওয়া রয়েছে। কচুয়াতে এ বারেই এত বেশি ভিড় হয়েছে। গঙ্গাসাগরে ২০-৩০ লক্ষ লোক যায়। তারাপীঠে রোজ কয়েক হাজার ভিড় হয়। সেখানে তাই রাস্তা চওড়া হচ্ছে। কচুয়াতেও এর পর থেকে পরিকল্পনা করতে হবে।’’ সূত্রের খবর, এর পর থেকে চাকলা এবং গঙ্গাসাগর মেলার কায়দাতেই কচুয়াতেও ভিড় সামলানোর পরিকল্পনা করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সরাসরিই বলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যেই এর দায়িত্ব নিয়ে রাস্তা চওড়া করে পরবর্তী কালে সরকার কচুয়া মেলাটি পরিচালনা করবে।’’

বিজেপি আবার দুর্ঘটনার জন্য আঙুল তুলেছে সরকারি সুরক্ষার অভাবের দিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এখন সরকার রাস্তা চওড়া করার কথা বলছে! এত দিন সেটা করেনি কেন? এত ভিড়ের মেলায় আগাম সুরক্ষা নেওয়া হয়নি কেন? সরকারকে দায় নিতে হবে।’’ দুর্ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকাতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ার দাবিও তুলেছেন দিলীপবাবু। মমতা অবশ্য জানিয়েছেন, একই দিনে জন্মাষ্টমী এবং লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মোৎসব পড়ে যাওয়ায় সব দিক সামলাতে অসুবিধা হয়েছে প্রশাসনের।

কচুয়া-কাণ্ডের পর এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষকেই অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। দুপুরে জ্যোতিপ্রিয়বাবু যখন কচুয়া পৌঁছন, তখন তাঁর পিছু পিছু ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলতে এগোতে থাকেন কয়েকজন যুবক। তবে মন্ত্রী বিষয়টি হেসে এড়িয়ে যান।

সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু সেখানে পৌঁছলে তাঁকে শুনতে হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সায়ন্তনের বক্তব্য, দুপুরের বদলা সন্ধ্যায় নিয়েছে তৃণমূল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy