অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-ভুক্তদের সংরক্ষণের বিষয়ে নতুন করে রাজ্যে সমীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানানো হল। এ বিষয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করেছে হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই অবস্থায় ওবিসি চিহ্নিত করতে নতুন সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য। ওই বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান ওই আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানান, দ্রুত শুনানির আবেদন বিবেচনা করা হবে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য জানিয়েছিল, কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য, তা যাচাই করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতে জানান, হাই কোর্টের নির্দেশমতো নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
এই অবস্থায় ওবিসি মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান রাজ্যের আইনজীবী সিব্বল। তাঁর আবেদন মেনে রাজ্যকে তিন মাস সময় দেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গবই সে দিন বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা থেকে আমরা একটু স্বস্তি পেলাম।” জুলাই মাসের পরে ওই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যে ওবিসি সংরক্ষণের চালু ব্যবস্থা খারিজ হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্টের নির্দেশেই বাতিল হয়েছিল ওবিসি শংসাপত্র। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য।
রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ২২ মে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তারই প্রেক্ষিতে তিন মাস সময় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।