Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
WB Assembly

বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে পাশ হবে চারটি বিল, তালিকায় লোকায়ুক্তের মেয়াদ বৃদ্ধিও

লোকায়ুক্তের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গে লোকায়ুক্তের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে বিলটি পাশ হতে চলেছে, তাতে বেশ কিছু নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৪
Share: Save:

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। যে কারণে আগামী মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনের শেষ দিনে পাশ হতে পারে চারটি বিল। এর মধ্যে রয়েছে লোকায়ুক্তের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল। পশ্চিমবঙ্গের লোকায়ুক্তের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে বিলটি পাশ হওয়ার কথা, তাতে বেশ কিছু নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সাধারণ ভাবে তিন বছরের জন্য লোকায়ুক্ত নিয়োগ করা হলেও কর্মরত লোকায়ুক্তের মেয়াদও বৃদ্ধি হতে পারে। ফের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দু’বছরের মধ্যেও। তবে, লোকায়ুক্ত সত্তরোর্ধ্ব হলে তাঁর মেয়াদ আর বৃদ্ধি করা যাবে না। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট রুখতে যে আইন আছে, সেই ‘মেনটেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট’-এ সংশোধনী আনা হচ্ছে বিধানসভায়। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বা আন্দোলনের নাম করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, লুট বা অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটায়। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেটাতে অপরাধীর সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্টের উপযোগী সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দফতরের অধীন থাকা লিজের জমির মালিকানা স্বত্ব দেওয়ার বিষয়ে আগেই সম্মতি দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। সেই কারণে ১৯৫৫ সালের ভূমিসংস্কার আইনের সংশোধনী আনতে চলেছে সরকার। আগেও এই আইনে একাধিক বার সংশোধনী আনা হয়েছে। তবে জমি লিজ সংক্রান্ত আইনে স্বাধীনতার পর এ বারই প্রথম সংশোধনী আনা হচ্ছে। সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, লক্ষাধিক মানুষ ও বিভিন্ন শিল্প সংস্থা উপকৃত হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এক দিকে যেমন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, তেমনই বৃদ্ধি পাবে রাজ্য সরকারের রাজস্ব। এ ছাড়াও ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড ল (রিপিলিং) বিল ২০২৩’ পাশ করা হয়েছে। তবে এক দিনে চারটি বিল পাশ করানোর সমালোচনা করেছে বিরোধী বিজেপি পরিষদীয় দল। তাদের কথায়, এ ভাবে বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া তড়িঘড়ি কোনও বিল আনা হলে তাতে অনেক খামতি থেকে যেতে পারে। তাই সরকার পক্ষের উচিত দ্রুততার সঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিল আনার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলোচনার সময় দেওয়া। সমালোচনা করলেও সব বিলের আলোচনাতেই অংশ নেবে তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

WB Assembly Bill Budget session
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy