রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
পুরনো তিক্ততা ভুলে এখন আদর্শ স্ত্রীর মতোই স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে চান রত্না। আপাতত বৈশাখীপর্ব ভুলে রত্নার লক্ষ্য শোভনের জামিন। সোমবার সিবিআইয়ের হাতে শোভনের গ্রেফতারির পর অনেকটা সময় নিজাম প্যালেসে কাটিয়েছেন পুত্র ঋষিকে নিয়ে। মঙ্গলবার রত্না বলেন, ‘‘এখনও আমরা স্বামী স্ত্রী। বিপদের দিনে শোভনবাবুর পাশে দাঁড়ানোই আমার কর্তব্য। আমি নিজে এমনই শিক্ষা পেয়েছি এবং সন্তানদেরও সেই শিক্ষাই দিয়েছি। এই কঠিন সময়ে শোভনবাবুকে যে কোনও ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’
মায়ের সঙ্গ দিলেন পুত্র ঋষিও। সোমবার সকালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির খবর পেয়েই নিজাম প্যালেসে ছুটে যান বেহালা পূর্বের বিধায়ক। প্রায় সারাদিন সেখানে থেকে দফায় দফায় খোঁজ নেন শোভনের শরীর স্বাস্থ্যের। তারই সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন আইনি পরামর্শ। প্রতিনিয়ত তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খোঁজ নিয়েছেন কোন পথে জামিন পাওয়া যায়। ধৃত নেতাদের জামিন নিয়ে নাটকপর্ব চলে দিনভর। সন্ধ্যায় ক্লান্ত রত্না বাড়ি ফিরলেও, পুত্র ঋষিকে বলে আসেন, আদালত যাই রায় দিক বাবার সঙ্গে থাকতে হবে।
বেহালা পূর্বে প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন রত্না। সেই ভোটযুদ্ধে মায়ের অন্যতম সৈনিক হিসেবেও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন শোভনপুত্র। নিজাম প্যালেসে গভীর রাত পর্যন্ত থেকে মাকে প্রতি মুহুর্তের খবর পৌঁছে দেন ঋষিই। মায়ের কথা মতো গভীর রাতে সিবিআইয়ের কনভয় প্রেসিডেন্সি জেলে শোভনকে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত ঋষির নজর ছিল বাবার দিকেই। সিবিআইয়ের কনভয় প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুকে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সেই সময়ও সেই ঘটনা খুব কাছ থেকেই প্রত্যক্ষ করেন শোভন তনয়। কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়েই পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
ভোর ৪টে নাগাদ বেহালা পর্ণশ্রী এলাকার বাড়িতে ফেরেন ঋষি। প্রায় সাড়ে তিন বছর হল বেহালা পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িতে থাকেন না কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। বর্তমানে তাঁর আস্তানা গোলপার্কের এক বহুতল। এই তিন বছরে পরস্পরের দিকে তীক্ষ্ণ বাক্যবাণ ছুঁড়েছেন দু’পক্ষই। বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে শোভন-রত্নার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বাবার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়নি পুত্র ঋষি ও মেয়ে রুহির। কিন্তু সোমবার শোভনের গ্রেফতারির পর পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে যান রত্না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy