বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র
কোথাও কোথাও রক্ষী নেই। কোথাও বা সরকারি ফাঁসে আটকে থাকছে টাকা। কোথাও আবার কাজের ইচ্ছে থাকলেও পরিকাঠামো নেই। বনকর্তাদের একাংশের দাবি, এমনই সব সমস্যায় জর্জরিত তাঁদের দফতর। আজ, শুক্রবার বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এই সব সমস্যা তুলে ধরতে চান অফিসারেরা।
বৈঠকে ডিএফও থেকে প্রধান মুখ্য বনপাল— সকলেই থাকবেন। রাজীববাবু বলছেন, ‘‘বন, বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নয়নের কাজে সকলকে নিয়েই চলতে চাই।’’ বনকর্তাদের একাংশ মনে করছেন, কাজে গতি আনতে দাওয়াই দেওয়ার আগে রোগ ধরতে চাইছেন মন্ত্রী।
বনকর্তাদের বক্তব্য, ট্রেজারি থেকে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন চালু করায় সমস্যা বেড়েছে। আগে রেঞ্জারদের কাছে কিছু নগদ টাকা দেওয়া থাকত। হাতি তাড়ানোর পটকা ও মশাল জ্বালানোর তেল কেনা, হুলাপার্টির খরচ জোগানো, বন্যপ্রাণীর হামলায় গরিব গ্রামবাসী মারা গেলে বা আহত হলে সেই তহবিল থেকেই অন্ত্যেষ্টি বা চিকিৎসার খরচ দেওয়া হত। ইদানীং খরচের বিষয়টি ট্রেজারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ বা ছোটখাটো ব্যাপারেও জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে অরণ্যের লাগোয়া জনপদের বাসিন্দাদের অসন্তোষ বাড়ছে। রক্ষীর অভাবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের। তার ফলে বেড়ে চলেছে চোরাশিকার।
বনকর্তাদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, অরণ্যবেষ্টিত ডুয়ার্স এবং জঙ্গলমহল রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। বাম আমলে যৌথ বন পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল সরকার। কিন্তু গত কয়েক বছরে যৌথ পরিচালন ব্যবস্থায় নানান খামতি তৈরি হয়েছে। ফলে সরকারের প্রতি অসন্তোষও বাড়ছে। কাজকর্মে ঢিলেমির জন্য শীর্ষ বনকর্তাদের একাংশের মনোভাবকেও দায়ী করছেন বনকর্মীদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy