(বাঁ দিকে) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বন দফতরের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
বন দফতরের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই খোদ দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। আগামী শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শুরু হচ্ছে তিন দিনের বন মহোৎসব। সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র বিলি করার কাজ শুরু হয়েছে। বন দফতর এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সচিবালয়ের যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই নিয়ম মেনেই ২২-২৪ ডিসেম্বর বিধানসভার উদ্যানে আয়োজিত হবে বন মহোৎসব। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রণপত্রে অতিথি হিসাবে নাম রয়েছে ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ, উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায় এবং বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গার। কিন্তু সেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় জ্যোতিপ্রিয়র নাম নেই। তাঁর নাম না থাকাকে প্রত্যাশিতই বলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের একাংশ।
তাঁদের ব্যাখ্যায়, যে হেতু গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাদের হেফাজতেই রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, তাই দফতরের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম দিয়ে অহেতুক বিতর্ক চায়নি শাসকদল। তবে কাগজে-কলমে এখনও রাজ্যের বনমন্ত্রীর নাম জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর গ্রেফতারের পর তিনটি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেই সব বৈঠকে বনমন্ত্রীর আসন শূন্য থাকলেও, তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেকের অরণ্য ভবন এবং বিধানসভায় তাঁর বসার ঘরেও নামফলকে তাঁকে এখনও মন্ত্রী হিসাবেই লেখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইটগুলিতেও বনমন্ত্রী হিসাবে জ্বলজ্বল করছে জ্যোতিপ্রিয়র নাম। তা সত্ত্বেও যাবতীয় বিতর্ক এড়িয়ে যেতেই জ্যোতিপ্রিয়ের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনেও খালি ছিল বনমন্ত্রীর আসন। তাই ট্রেজ়ারি বেঞ্চের দিকে তাক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল, “বালু কোথায়?” তাই বিধানসভার অন্দরে বন দফতরের অনুষ্ঠান ঘিরে যাতে বিরোধী শিবিরের হাতে নতুন কোনও অস্ত্র তুলে না দেওয়া হয়, সেই কারণেই সম্ভবত জ্যোতিপ্রিয়ের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে অতিথিদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে বিধানসভার সচিবালয়ের একাংশ। ইডির হেফাজতে থাকলেও, বর্তমানে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy