স্মারটফোন ছেড়ে বোতাম টেপা ফোনে প্রত্যাবর্তন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরই স্মার্টফোন ত্যাগ করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এত দিন পাঁচটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতেন তিনি। সবক’টিই ত্যাগ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। ফিরে গিয়েছেন পুরনো বোতাম টেপা ফোনে। শুধু তাই নয়, আর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ নয়, চিঠির মাধ্যমেই তথ্য আদান-প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধী নেতা-নেত্রী, সাংবাদিক, বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে বিদ্ধ নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তা নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই উত্তাল সংসদের বাদল অধিবেশন। নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও জমা পড়েছে ইতিমধ্যেই। এ নিয়ে পিছু হটার কোনও প্রশ্ন নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
তার মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়র স্মার্টফোন ত্যাগ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘চারিদিক থেকে আতঙ্ক গ্রাস করছে। মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ফোনের ক্যামেরার উপর লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রেখেছেন। তাতেই বুঝলাম সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে বোতাম টেপা ফোন। তাই স্মার্টফোন ছাড়লাম।’’
নিজে তো স্মার্টফোন ছেড়েছেনই, নিজের দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদেরও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। হাতে চিঠি লেখার অভ্যাস রপ্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন সকলকে। জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, আর কাউকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠাবেন না তিনি। দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হোক বা দলীয় বৈঠক, মুখোমুখি বসে সকলের সঙ্গে কথা বলবেন। কোনও বার্তা দেওয়ার হলে চিঠি লিখে জানাবেন।
উল্লেখ্য, আড়ি পাতা-কাণ্ডে সংসদে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। এ নিয়ে পিছু হটার কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। এ নিয়ে দলের নেতা-মন্ত্রীদেরও সতর্ক করেছেন মমতা। গত ২২ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি জানান, যত আধুনিক ফোন, তত বেশি বিপদ। তাই সাবধান হতে হবে সকলকে। যা কথা বলার সামনাসামনি বলতে হবে। এর পরেই জ্যোতিপ্রিয়র স্মার্টফোন ত্যাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy