Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
BJP MLAs protest

ভোটের আগে কর্মীদের ভয় দেখাতে রাতে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে হুমকি! রায়গঞ্জে বিক্ষোভে পাঁচ পদ্ম বিধায়ক

আগামী ১০ জুলাই রায়গঞ্জে উপনির্বাচন রয়েছে। বিজেপির দাবি, তার আগে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে তাঁদের থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেখানে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

বিক্ষোভে বিজেপি বিধায়কেরা।

বিক্ষোভে বিজেপি বিধায়কেরা। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৪:২৯
Share: Save:

উপনির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের থানায় ডেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে রায়গঞ্জে অভিযোগ তুলল বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার রায়গঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান পদ্মশিবিরের নেতারা। তাঁদের নেতৃত্ব দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষ, মালদহের গাজলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মণ, দক্ষিণ কোচবিহারের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ এবং হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। বিজেপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে সরকারি ভাবে এখনও কিছু বলা হয়নি। শাসকদল তৃণমূল বিজেপির অভিযোগ মানতে চায়নি।

আগামী ১০ জুলাই রায়গঞ্জে উপনির্বাচন রয়েছে। বিজেপির দাবি, তার আগে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে তাঁদের থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেখানে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই শুক্রবারের বিক্ষোভ। বিজেপির হুঁশিয়ারি, পুলিশ যদি অবিলম্বে তা বন্ধ না করে, তা হলে আগামী ৮ জুলাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও হবে।

শঙ্কর বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণা মতোই শুক্রবার পাঁচ বিধায়ক রায়গঞ্জ থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন। রায়গঞ্জ উপনির্বাচনে হারের ভয়ে তৃণমূলের শাখা সংগঠনে পরিণত হওয়া পুলিশ বা পুলিশের একাংশ রাতে বিজেপির নেতা-কর্মীদের থানায় ধরে নিয়ে আসছে। নেতাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাদের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’’ বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভে বসার পর থেকেই পুলিশ তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছে। শঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের দেখে কি সন্ত্রাসবাদী মনে হয়? আমরা অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছি। পুলিশ ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার জন্য উদ্‌গ্রীব। অথচ চোপড়ায় মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। তার ছবি পাওয়া যায় না। বরং পুলিশ সেখানকার বিধায়কের বাড়িতে বসে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। রাজ্যে যদি পিসি-ভাইপোর নির্দেশে এ ভাবে কাজ হতে থাকে, তা হলে আগামী দিনে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে আমরা থানা ঘেরাও করব। সন্দেশখালি ও চোপড়ার মতো ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে শাসকদল বাঁচতে চাইছে।’’

পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘পুলিশ কখনও নিয়ম বাদ দিয়ে কাজ করে না। আমি যদি নির্দেশ দিই, তা হলে কি পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে আনবে? পুলিশ পুলিশের কাজ করে আইন মেনেই। বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন, এ বার রায়গঞ্জ উপনির্বাচনে ওঁদের হার নিশ্চিত। তাই সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে এই ধরনের আচরণ ও মন্তব্য করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

BJP MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy