শুক্রবার বিলেত থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। পরিসংখ্যান বলছে, মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের ১২ বছরের কিছু বেশি সময়ের শাসনকালে এই নিয়ে পঞ্চম এজি মেয়াদ শেষের আগেই ইস্তফা দিলেন।
২০১১ সালে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন ব্যারিস্টার অনিন্দ্য মিত্রকে। কিন্তু দু’বছরের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন। তার পরে এজি করা হয় বিমল চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনিও ইস্তফা দেন। বিমলের স্থলাভিষিক্ত করা হয় জয়ন্ত মিত্রকে। এজি থাকাকালীন জয়ন্ত একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার পরে ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি তিনিও ইস্তফা দেন এজি-র পদ থেকে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল কিশোর দত্তকে। কিশোর ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিশোরের জায়গাতেই আনা হয়েছিল সৌমেন্দ্রনাথকে। যিনি শুক্রবার বিদেশ থেকে রাজ্যপালকে তাঁর ইস্তফাপত্র ইমেল করেছেন।
আরও পড়ুন:
পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে বাম জমানায় এত ঘন ঘন অ্যাডভোকেট জেনারেল বদল হয়নি। মোট ৩৪ বছরের বাম জমানায় অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন চার জন। প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নিয়োগ করা হলে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হয় পাঁচ বছর। সেই মেয়াদ পুরণের পর আবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুনর্নিয়োগের সুপারিশ করতে পারে রাজ্য। উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল কে হবেন, সে ব্যাপারে নামের সুপারিশ করে রাজ্য সরকারই। সরকারের সুপারিশ যায় রাজভবনে। রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে এজি নিয়োগে সিলমোহর দেন।
সৌমেন্দ্রনাথ শুক্রবারই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যপালকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে কোনও কারণ উল্লেখ করেনি। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজ্য সরকার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদল করেছিল। গত ৭ নভেম্বর হাই কোর্টের পিপি পদে আইনজীবী শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে আইনজীবী দেবাশিস রায়কে আনা হয়েছিল। তার পরেই পদত্যাগ করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। এখন প্রশ্ন, ওই পদে কাকে নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।