— ফাইল চিত্র।
বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন গত ২৪ অগস্ট দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু খবর পেয়েছিলেন, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে সিবিআই ‘তলব’ করেছে। তার কিছু ক্ষণ পরেই বিব়ৃতি দিয়ে সুজিত ঘোষণা করেন, সিবিআইয়ের তরফে কোনও তলবি চিঠি তিনি পাননি। তার পরেও কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছিল, ৩১ অগস্ট মন্ত্রীকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও সিবিআইয়ের চিঠি পাননি।
সুজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি এ রকম কোনও নোটিসই পাইনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে ধারাবাবিক ভাবে বলা হচ্ছে, আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে আহত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই যে র্যাগিং নিয়ে এত কথা হচ্ছে, আমার সঙ্গে যেটা হচ্ছে সেটাও র্যাগিং। একটা ভুয়ো খবরকে বার বার বলা হচ্ছে।’’ পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘‘আমায় যদি কোনও তদন্ত সংস্থা ডাকে, তা হলে আমি নিশ্চয়ই যাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি কোনও নোটিস পাইনি।’’
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট-ও। ইডি সূত্রে খবর, যে ১২টি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে তারা নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো কলকাতা সংলগ্ন একাধিক পুরসভাও রয়েছে। ইডি ওই পুরসভাগুলির কর্তৃপক্ষকে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে সমস্ত নিয়োগের তথ্য পাঠাতে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই তথ্য এবং যাবতীয় নথি পাঠাতে হবে বলে নোটিসে জানিয়েছে ইডি। যে সময়ের মধ্যে রয়েছে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে, সেই সময়ে সুজিত ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান। সুজিত বলেন, ‘‘আমার চার দশকের রাজনৈতিক জীবন। আমি ছ’বারের কাউন্সিলর, চার বারের বিধায়ক। আমাকে কখনও এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি।’’ যা তাঁকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন সুজিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy