উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার পর এ বার বর্ধমান রেলস্টেশনের ভিতরে আগুল লাগল। বুধবার সন্ধ্যায় ওই স্টেশনের আরপিএফ অফিসের উল্টো দিকে ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে শেডের নীচে আচমকাই আগুনের ফুলকি চোখে পড়ে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীদের। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সে সময় স্টেশনে এসে দাঁড়ানো একটি লোকাল যাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যদিও মিনিট দশেকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হননি।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন লাগার কিছু ক্ষণ আগেই হাওড়া-বর্ধমান ৩৬৮৩৩ আপ লোকাল বর্ধমান স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে এসে থেমেছিল। সে সময়ই ওই আগুনের ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে নেমে বাইরে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন।
খবর পেয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত আরপিএফ এবং জিআরপি কর্মীরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাটি ঘিরে দেয় রেলপুলিশ। স্টেশনের অধিকাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে স্টেশন চত্বরের একটা বড় অংশে অন্ধকার হয়ে পড়ে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং বালি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন রেলকর্মীরা। যদিও এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে রেল সূত্রে খবর। সেলিম মিয়াঁ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘হঠাৎই ইলেকট্রিকের তারে আগুন জ্বলতে শুরু করে। তবে রেলপুলিশ এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। ওই সময়ে একটি লোকাল ট্রেন স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। ওই ট্রেনের যাত্রীদের সাবধান করে দেয় রেলপুলিশ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় প্ল্যাটফর্মে আলো নিভে গিয়েছিল।’’
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুতের বক্সের তারে শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একটা ছোট আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়নি। ১০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।’’ তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা বলতে পারেননি তিনি। একলব্য বলেন, ‘‘আগুনের উৎস খোঁজা হচ্ছে।’’
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হাবড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এস পাম্পের পিছনে রেলবস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল।