সরকারি ছুটির ফাঁদে এ বার রাজ্য সরকারের অর্থবর্ষের সমাপ্তিপর্ব। সরকারি নিয়ম মেনে আগামী ৩১ মার্চ রাজ্য সরকারের অর্থবর্ষের সমাপ্তি হবে। কিন্তু তার আগে বেশ কিছু সরকারি ছুটি এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনের কারণে রাজ্য সরকার ছুটি দিয়েছে। যদিও শুক্রবার খোলা থাকবে রাজ্য সরকারের সব দফতর। কিন্তু শনি-রবিবারের ছুটির সঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার ঈদ উৎসবের কারণে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাই অর্থবর্ষের যাবতীয় কাজ শেষ করতে শনিবারেও কাজ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ ২৯ মার্চ করতে হবে। এমনিতে অর্থবছরের শেষ দিন শনিবার, রবিবার পড়লে বিভিন্ন দফতরের অর্থ বিভাগগুলিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। তাই অর্থ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে বিষয়টি একেবারেই নতুন নয়।
আরও পড়ুন:
তবে রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে অনলাইনে যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের বন্দোবস্ত করেছে। তাই ছুটির অজুহাত দিয়ে যাতে কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মচারী কাজে ফাঁকি না দিতে পারেন, তাই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনলাইনে করার সুযোগও রাখা হচ্ছে। অনলাইনে ৩১ মার্চ রাত বারোটা পর্যন্ত এই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কাজকর্ম করা যাবে। তবে অফলাইন কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে অর্থ দফতর। এ ক্ষেত্রে, শুক্রবার বিকেল চারটের মধ্যে আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়ের যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ফেলতে হবে। অফলাইন আর্থিক কাজের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই নিজেদের দায়িত্বে থাকা আর্থিক বিষয়ক কাজকর্ম শেষ করে ফেলতেই হবে। যে হেতু আগামী সোম এবং মঙ্গলবার ইদ উৎসবের কারণে ছুটি রয়েছে, তাই নতুন অর্থবর্ষের কাজ শুরু হবে ২ এপ্রিল থেকে। অর্থ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ছুটির কারণে বেশ কিছু কাজে অসুবিধা হতে পারে। সেই কারণেই রাজ্য সরকারের তরফে শনিবার অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অফলাইনের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু সমস্যার হলেও, অনলাইনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে বলেও বার্তা পাঠানো হয়েছে। কারণ, বিষয়টি রাজ্যের উন্নয়নের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। যে কারণে এমন কড়াকড়ি করছে অর্থ দফতর।