মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে অর্থ কমিশনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ওই অর্থ কমিশনের আওতায় পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের রূপরেখা চূড়ান্ত হবে। ফলে আসন্ন বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে কমিশন-কর্তাদের। সব ঠিক থাকলে ৩ ডিসেম্বর নবান্নে ওই বৈঠকটি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের তরফে বৈঠকে থাকতে পারেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র-সহ অনেকেই।
আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অরবিন্দ পানাগড়িয়ার পৌরহিত্যে গঠিত হয়েছে ষোড়শ অর্থ কমিশন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ শেষে ষোড়শ অর্থ কমিশন কার্যকর হবে। তার আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে, তাদের চাহিদা, সমস্যা, এতদিনের কাজকর্ম সব বুঝে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করবে সেই কমিশন। পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে যা চলতে থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্যের আয়তন, জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, আর্থিক গতিবিধি, কর ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি খতিয়ে দেখে কমিশন। তার ভিত্তিতে রাজস্ব ঘাটতি অনুদান, পঞ্চায়েত-পুরসভার মতে স্থানীয় প্রশাসনে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। পাশাপাশি গ্রামীণ পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, স্বচ্ছতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিপর্যয় মোকাবিলা, পরিকাঠামো ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বরাদ্দ দিয়ে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যগুলির মধ্যে এ ভাবে কেন্দ্র যে অর্থ ভাগ করে দেয়, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবাস, একশো দিনের কাজের মতো প্রকল্পগুলিতে যখন কেন্দ্রের বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে, তখন কমিশনের বরাদ্দ দেওয়ার আগে এই বৈঠককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy