প্রতীকী ছবি
হোটেলে তরুণীর রহস্যজনক দেহ উদ্ধারের রহস্যের কিনারা করতে না পারলেও ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রেমিক অভিজিৎ পালকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে দিঘা থানার পুলিশ। শনিবার রাতে হুগলি জেলার দাদপুর থানার অতিগ্রাম থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৩ নভেম্বর নিউ দিঘার সরকারি বাস ডিপোর কাছে একটি বেসরকারি হোটেলের ঘর থেকে পিয়ালি দেড়ে (২০) নামে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি হুগলির ডানকুনির ক্ষুদিরাম বসু পল্লিতে। মৃতের দু’হাত সামনের দিকে রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল। তরুণীকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। কিন্তু হোটেলে কোনও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা কিংবা নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। তা ছাড়া তরুণীর সঙ্গে তাঁর চার বছরের ছোট্ট ছেলে দেবজিৎও কিছু বলতে পারেনি পুলিশকে। যদিও পরে তরুণীর ব্যবহৃত একটি মোবাইলে লেখা বেশ কয়েকটি মেসেজের সূত্র ধরে পুলিশ খুনের কিনারা করতে নামে। খুন হওয়ার আগে ওই তরুণী তাঁর ছোট বোনকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর বিয়ের আগে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে নিজের সম্পর্কের অবনতির কথাও লিখেছিলেন। সেখান থেকেই পুলিশ পিয়ালির বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্কের কথা জানতে পারে।
ইতিমধ্যে তরুণীর স্বামী প্রসেনজিৎ দাস এবং হোটেলের সর্বক্ষণের কর্মী কার্তিক জানাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার অভিজিৎকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে তার ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সোমবার হেফাজতে থাকা তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রয়োজনে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই তরুণীকে খুনের ঘটনায় সন্দেহজনক তিনজনকেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মুখোমুখি বসিয়ে খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি খুনের কারণও জানার চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy