সংখ্যার নিরিখে অতি নগণ্য! তবু ‘মুখরক্ষা’ হয়েছে আলিমুদ্দিনের!
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতর যে বুথের আওতায় পড়ে, সেখানে এ বারের লোকসভা ভোটে বামেরা পেয়েছে ৩১টি ভোট। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু ওই বুথেরই ভোটার। তবে সিপিএমের ‘স্বস্তি’ এইটুকুই যে, ওই বুথে তাদের প্রাপ্ত ভোট বিজেপির থেকে বেশি।
মধ্য কলকাতায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও রিপম স্ট্রিটের ওই এলাকায় বরাবরই কম ভোট পায় বামেরা। তবে অতীতে কোনও নির্বাচনে ওই ‘বুথে’ বামেরা এত কম ভোট পায়নি বলে সিপিএম সূত্রের খবর। বিজেপি ওই বুথে পেয়েছে ৬টি ভোট! তৃণমূল পেয়েছে ৪৮৪ ভোট। কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়েছে ৪৪টি ভোট। সিপিএমের রাজ্য দফতরের আশেপাশের বহু বুথে আবার বামেদের থেকে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট বেশ কিছুটা বেশি।
সিপিএমের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ওই বুথটিকে আলাদা করে চিহ্নিত করার কোনও কারণ নেই। এ বারের নির্বাচনে সর্বত্রই আমাদের ভোটের শতকরা হার কমেছে। মেরুকরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলি গুরুত্বই পায়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাদের রাজ্য দফতর যে বুথের অন্তর্গত, সেখানে বরাবরই আমরা কম ভোট পাই। তবে এ বার ওই বুথে আমাদের প্রাপ্ত ভোট অনেক কম।’’
সিপিএমের রাজ্য কার্যালয় কলকাতা পুরসভার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ বারের লোকসভা ভোটের ফল বলছে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই এলাকায় তৃণমূল বাকিদের চেয়ে বহু এগিয়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বামেদের থেকে। সিপিএমের রাজ্য দফতর যে বুথের অন্তর্গত, তার চারপাশের বুথগুলির কোনওটিতে বামেরা পেয়েছে ৫টি ভোট। আবার কোনও কোনও বুথে সিপিএমের ভোট ৪, ৯, ১১, ১৩। তীব্র ধর্মীয় মেরুকরণকেই যার কারণ হিসাবে মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
হিসেব বলছে, সিপিএমের চৌরঙ্গি-১ এরিয়া কমিটির অন্তর্ভুক্ত ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৪২টি বুথে সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট চারশোর সামান্য বেশি। বিজেপির মোট প্রাপ্ত ভোট সাড়ে ছ’শোর বেশি। কংগ্রেস প্রার্থী ওই বুথগুলিতে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৬০০-র সামান্য বেশি ভোট পেয়েছেন। আর তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ১৮ হাজার ৯০০।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy