হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আহত ফিরোজ শেখ (মাঝে)। —নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গিপুরে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী-কোন্দল। অভিযোগ, জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জাকির হোসেন বনাম পুর প্রশাসক মোজাহারুল শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটে শনিবার আহত হয়েছেন দু’পক্ষের দু’জন। এই ঘটনায় গুরুতর জখম ওই দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশাপাশি, তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি নালার কাজ ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ওই কাজ দেখতে গিয়ে বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত ফিরোজকে মারধর করে মোজাহারুলের লোকজন। এ নিয়ে শনিবার এলাকায় অশান্তি হয়। ফিরোজের এক অনুগামীর দাবি, ‘‘জঙ্গিপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি ফিরোজ শেখ নিকাশির কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। ওখানে ড্রেনের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে। ১১ ফুটের বদলে ৫ ফুট গর্ত খোঁড়া হচ্ছে। তবে জঙ্গিপুর পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল শেখ বলেছেন, ‘আমি যে ভাবে বলব, সে ভাবে কাজ হবে।’ এর পর পার্টি অফিসে বসে থাকার সময় আমাদের উপর ইট-পাথর, র়ড-লাঠি দিয়ে মারধর করে ওঁর লোকজন।’’
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিধায়কের অনুগামীরা রঘুনাথগঞ্জে দাদাঠাকুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী লাঠি-বোমা-পিস্তল নিয়ে পূর্বপাড়ের টাউন সভাপতি ফিরোজ শেখকে আক্রমণ করেছে। তাঁকে মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। তিনি হাসপাতালে।’’ তবে পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল শেখের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলন চলবে।’’
যদিও বিধায়েকর অনুগামীদের দাবি অস্বীকার করেছেন মোজাহারুল। তিনি বলেন, ‘‘জল নিকাশির কাজে কিছু মানুষ বাধা দিচ্ছেন। ওখানে কাজ দেখে ফিরে এসেছিলাম। সেখানে ফিরোজ ও তাঁর ভাই ছিলেন। শুনলাম, ওখানে গন্ডগোল হয়েছে। তবে আমি ওখানে ছিলাম না। ফলে কী হয়েছে, বলতে পারব না।’’ যদিও বিধায়কের দাবি, ‘‘আজকে আমার লোককে মেরেছে। কাজ দেখতে গিয়ে টাউন সভাপতি ফিরোজকে মারধর করে। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy