Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

পাঁচ ভেড়ার মৃত্যুতে ফিরল পুরনো আতঙ্ক

ডাহি গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী সুবল মাহাতোর বাড়িতে ছিটেবেড়ার ঘরে থাকত ৮টি ভেড়া। শনিবার সকালে সুবলের স্ত্রী ভবানী দেখেন, উঠোনে তিনটি ভেড়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে। আর দু’টি উধাও।

পাতা হয়েছে ফাঁদ। নিজস্ব চিত্র

পাতা হয়েছে ফাঁদ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৬
Share: Save:

পোষা পাঁচটি ভেড়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলেছিল গৃহস্থের উঠোনে। আর তাতেই বাঘের আতঙ্ক ফিরল ঝাড়গ্রামে। জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী অঞ্চলের ডাহি গ্রাম পরিদর্শন করে বনকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, হানা দেয় হায়নার দল।

ডাহি গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী সুবল মাহাতোর বাড়িতে ছিটেবেড়ার ঘরে থাকত ৮টি ভেড়া। শনিবার সকালে সুবলের স্ত্রী ভবানী দেখেন, উঠোনে তিনটি ভেড়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে। আর দু’টি উধাও। পরে সুবলের বাড়ির অদূরে আকাশমণি গাছের জঙ্গলে ওই দু’টি ভেড়ার দেহাবশেষ মেলে। তিনটি ভেড়া বেঁচে থাকলেও একটির গলায় আঁচড়-কামড়ের দাগ ছিল। সুবল জানান, উঠোনের বৃষ্টিভেজা মাটিতে হামলাকারীর পায়ের ছাপ ছিল।

২০১৮-র মার্চে জঙ্গলে বসানো ক্যামেরায় বাঘের দেখা মেলে লালগড়ে। সে বারও প্রথমে গরু-বাছুরের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। এ বার একসঙ্গে পাঁচটি ভেড়ার মৃত্যুতে অনেকেই বলছেন, বাঘ এল না তো!

ভিলেজ পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার সকালেই ডাহি গ্রামে যান সাঁকরাইল থানার ওসি মহম্মদ হাসানুজ্জামান মোল্লা ও সাঁকরাইল বনক্ষেত্রের বিট অফিসার মনোজ মজুমদার। বনকর্মীরা পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেন। রবিবারও বনকর্মীরা খোঁজ চালান। সুবলের বাড়ির অদূরে আকাশমণি গাছের জঙ্গলে যেখানে দু’টি ভেড়ার অবশেষ পাওয়া গিয়েছিল, রবিবার সন্ধ্যায় ভেড়ার টোপ দিয়েই সেখানে ‘ফাঁদ-খাঁচা’ বসিয়েছে বন দফতর।

বন দফতরের অনুমান, শুক্রবার সুবলের ভেড়া-রাখার ঘরে হায়নাই হানা দিয়েছিল। খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে হায়নাই।’’ ডাহি গ্রামটি খড়্গপুর বনবিভাগের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের সাঁকরাইল বিটের অন্তর্ভুক্ত। ওই শাল-জঙ্গলের গভীরে মাঝেমধ্যে হায়নার দেখা মেলে। তবে দলবেঁধে হায়নার দল এর আগে লোকালয়ে ঢুকেছে বলে কেউ মনে করতে পারছে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Tiger Sheep
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE