—ফাইল চিত্র।
জয়নগরকাণ্ডে সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু সেই সিটের উপর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই নির্যাতিতা নাবালিকার বাবার। সিবিআই চেয়ে তাঁর দাবি, পুলিশের একাংশকেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।
শনিবার রাতে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর রবিবার পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল নাবালিকার পরিবার-পরিজন এবং স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ শুরুতেই তৎপর হলে বছর নয়ের মেয়েটি হয়তো প্রাণে বেঁচে যেত। নাবালিকার নিখোঁজের কথা যখন পুলিশকে জানানো হয়েছিল, তখন তারা গুরুত্বই দেয়নি। বুধবারও সেই একই কথাই বলেন মেয়েটির বাবা। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম। পুলিশ প্রথমে অভিযোগই নেয়নি। অন্য থানায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের আস্থা নেই। পুলিশ শুরুতেই স্টেপ নিলে মেয়েটাকে হয়তো জীবিত পেতাম।’’
বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নিজের ভূমিকা যথাযথ ভাবে পালন করছে না। রাজ্যে পুলিশের কোন ভূমিকাই নেই। যা অপরাধ হচ্ছে, সে রকম মামলা হচ্ছে না। এতে অপরাধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে। অপরাধকে লঘু করে দেখানো হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন অধীর। বলেন, ‘‘একমাত্র উনিই উৎসব পালন করছেন। ওঁর উচিত ছিল নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। এই বাংলাকে শাসক শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে চাইছে।’’
অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরীর বক্তব্যকে আমরা জাতীয় কংগ্রেসের বক্তব্য হিসাবে ধরছি না। কারণ, কংগ্রেসই অধীরকে মান্যতা দেয় না। তাই তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তাই ব্যক্তি অধীর কী বললেন, তা দিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy