সেফ আলি খান। —ফাইল চিত্র।
এক বন্ধুর ফোনে সকালে ঘুম ভাঙল। শুনলাম, সেফ আলি খানের উপরে দুষ্কৃতীর হামলা হয়েছে। সেফের মতো ব্যক্তির সঙ্গে এ রকম ঘটতে পারে, বিশ্বাস করতেই পারিনি প্রথমে। এত ভদ্র মানুষ খুব কম দেখেছি। প্রায় দু’বছর আগে পোশাক তৈরির সূত্রেই ওঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। তার পর মানুষটির সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ, সেফের বাংলার প্রতি অগাধ ভালবাসা। ওঁর সঙ্গে কথা বললেই শর্মিলা ঠাকুরের প্রভাব টের পাওয়া যায়। গল্প করার সময়ে উত্তমকুমার, সত্যজিৎ রায়ের ছবির কথা উঠে আসে। আমার ব্র্যান্ডের লোগো ডিজ়াইন নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন।
সেফ কেমন আছেন জানতে ওঁর ব্যক্তিগত সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি তখন লীলাবতী হাসপাতালে ছিলেন। সেফের তখন অপারেশন চলছিল। দুপুরের দিকে জানতে পারলাম, অপারেশন ভালয় ভালয় মিটেছে। আঘাতপ্রাপ্ত বাকি অংশে পরিচর্যা চলছে। তবে এখনও তাঁকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেই জানিয়েছে চিকিৎসক টিম।
বুধবার একটা সিরিজ়ের লুকসেটের শুটিংয়ে ছিলেন সেফ। রাতে বাড়ি ফেরেন। বান্দ্রার সৎগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টের ১০, ১১, ১২ তিনটে তলা মিলিয়ে সেফ-করিনা থাকেন। এখানে সেফ বা বাচ্চাদের ঘরে পৌঁছতে হলেও অনেকগুলো ঘর পেরোতে হয়। কী করে এক জন বাইরের লোক এ ভাবে বাচ্চাদের ঘরে ঢুকে পড়ল, সেটাই আমাকে অবাক করছে! ওঁরা অনুমান করছেন, দুষ্কৃতী বাচ্চাদের ঘরে বা অন্য কোথাও লুকিয়ে ছিল। বাচ্চাদের ন্যানির চোখে পড়তেই চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। তার পর সেফ বাঁচাতে এলে দুষ্কৃতী তাঁকে ছুরি মারে। ধস্তাধস্তিতে এক ন্যানিও আহত হয়েছেন। জেহ (সেফের ছোট ছেলে)-রও খানিক চোট লেগেছে।
হাসপাতালে সেফের সঙ্গে পরিবার ছাড়া কারও দেখা করার অনুমতি নেই। অনুমতি পেলেই সেফকে দেখতে মুম্বই পাড়ি দেব। ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা, যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে উঠুন তিনি। সদা হাস্যমুখের সেফকে ফিরে পেতে চাই খুব তাড়াতাড়ি।
(লেখক ফ্যাশন ডিজ়াইনার)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy