প্রতিবাদ মিছিলে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রের সংশোধিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে কলকাতায় যৌথ মিছিলে হাঁটলেন বাম ও কংগ্রেসের নেতারা। কিন্তু দু’পক্ষের জোট নিয়ে আলোচনা আবার কবে শুরু হবে, সেই প্রশ্নের সদুত্তর মিলল না কংগ্রেসের দিক থেকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যখন কলকাতায় ফিরবেন, তখন আলোচনা হতে পারে— এমন সম্ভাবনার কথা বলা ছাড়া বাম নেতৃত্বকে আর কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি কংগ্রেস নেতারা।
কৃষি আইন সংশোধনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্য জুড়েই। কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ডাকে শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জাতীয় সড়ক ও অন্যান্য রাস্তায় দু’শোরও বেশি জায়গায় পথ অবরোধ হয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের বিভিন্ন গণসংগঠন মিলিত ভাবে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছে। আবার তৃণমূলের কৃষক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে মেয়ো রোডে ধানের চারা পুঁতে ও কৃষি বিলের প্রতিলিপি পুড়িয়ে। একাধিক জেলা থেকে আসা শাসক দলের কৃষক সংগঠনের সদস্যেরা রক্ত দিয়ে কৃষি আইনের বিরোধিতার কথাও লিখেছেন আর্ট পেপারের ক্যানভাসে। রাজ্যে কৃষি বিক্ষোভে শামিল ছিল এসইউসি-ও।
দিনভর নানা প্রতিবাদের পরে সন্ধ্যায় ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ওই মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন ট্রেড ইউনিয়নের নেতারাই। মিছিলের পিছনে পা মিলিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়েরা। ছিলেন যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান, আইএনটিইউসি-র সভাপতি কামরুজ্জামান কামার, সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু ও বিভিন্ন বাম দলের নেতৃত্ব।
বাম ও কংগ্রেস গণ সংগঠনের যৌথ প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
মিছিলে চলতে চলতেই বিমানবাবু কংগ্রেসের মান্নান, অমিতাভবাবুর কাছে খোঁজ নিয়েছেন, দু’পক্ষের জোটের আলোচনা কবে আবার শুরু হবে? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কবে বৈঠকে বসবেন? কবে আলোচনা হবে, তার কোনও সদুত্তর দেওয়ার উপায় ওখানে উপস্থিত কংগ্রেস নেতাদের ছিল না। মান্নান বিমানবাবুকে বলেন, সংসদ মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। এ বার অধীরবাবু এলে নিশ্চয়ই কথা হবে।
তৃণমূলের মহিলা ও ছাত্র সংগঠনের পরে দু’দিন ধরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়েছে কিষাণ ও খেত মজুর সংগঠন। তাদের ধর্মতলার সভায় এ দিন ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী তাপস রায়। সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যে কৃষকদের স্বাধীনতা হরণকারী এই কালা আইনের বিরোধিতা চলবে।’’ এরই পাশাপাশি, এআইসিসি নেতা মোহন প্রকাশ ও নাদিম জাভেদ এ দিন বিধান ভবনে জানিয়েছেন, সোমবার রাজ্যে দলীয় ভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিচ্ছে কংগ্রেস। এ বছর ২ অক্টোবর পালন করা হবে ‘কৃষক ও শ্রমিক দিবস’ হিসেবে, ১০ তারিখ রাজ্যে রাজ্যে হবে ‘কিসান কংগ্রেস সম্মেলন’। অক্টোবরের ২ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে জেলায় জেলায় প্রচার ও সই সংগ্রহ অভিযান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy