প্রতীকী ছবি।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। কিন্তু স্নাতকোত্তর স্তরে পরীক্ষা নেওয়া হবে কী ভাবে? এই বিষয়ে আজ, বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বাম শিবিরের পড়ুয়ারা অবশ্য পরীক্ষার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অনড়। এসএফআই-সহ মোট পাঁচটি বাম ছাত্র সংগঠন বুধবার রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে। তাদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে আছে: প্রথমত, করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সুনিশ্চিত না-করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তাই মূল্যায়নের বিকল্প পদ্ধতি চাই। দ্বিতীয়ত, ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য বিমা করাতে হবে। তৃতীয়ত, লকডাউনের সময় পাঠ্যক্রমের যে-সব অংশ অনলাইনে পড়ানো হয়েছে, সেই সব অধ্যায় থেকে পরীক্ষায় কোনও প্রশ্ন দেওয়া যাবে না। চতুর্থত, একান্তই কোনও ছাত্র বা ছাত্রী পরীক্ষা দিতে না-পারলে ফেল করানো যাবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরীক্ষা অনলাইনে হবে, নাকি ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসে হাজির হয়ে পরীক্ষা দেবেন? মূলত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আজ কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে বৈঠক ডেকেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের পরে দ্বারভাঙা হলে ওই বৈঠকের ব্যবস্থা হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সভাপতি পার্থিব বসু মঙ্গলবার বলেন, ‘‘কোন বিভাগ কী ভাবে পরীক্ষা নেবে, সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সঙ্গে সবিস্তার আলোচনার ভিত্তিতেই সেটা ঠিক করা উচিত। কোনও বিভাগের পক্ষে হয়তো অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়াটাই সুবিধাজনক। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ক্যাম্পাসে বসে পরীক্ষা দিলে সুবিধা হয়। তাই প্রতিটি বিভাগের মত জানা খুবই প্রয়োজন।’’ তাঁর মতে, তেমন হলে বিভাগগুলিকে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। স্নাতক স্তরের পঠনপাঠনের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ১৫০টি কলেজ রয়েছে। ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে কলেজগুলিতে পরীক্ষা নিয়ে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা বেশ কঠিন বলে মনে করছেন শিক্ষা শিবিরের একাংশ।
এ দিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে এসএফআই ছাত্র সংসদের দাবি, অনলাইনে পরীক্ষা হোক। প্রশ্নপত্র ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হোক। যাঁরা চাইবেন, তাঁরা মেলে বা হোয়াটসঅ্যাপে উত্তর দেবেন। বাকিরা খাতায়-কলমে বাড়িতে বসে উত্তর লিখবেন। সেই উত্তরপত্র সংগ্রহ করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর আগে রাজ্যের নির্দেশিকা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় যে মূল্যায়ন করে, তার ২০% নম্বর এই ভাবে পরীক্ষা নিয়েই দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy