E-Paper

রদবদলের চর্চাতেই সক্রিয় গোষ্ঠী, দ্বন্দ্ব-শঙ্কা তৃণমূলে

মুখবদলের পরিকল্পনা হলেও তার রূপরেখা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু সেই পরিকল্পনার ঘোষণার সূত্রেই শাসক দলের অন্দরে নতুন করে কোন্দলের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

— প্রতীকী চিত্র।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:১৩
Share
Save

উৎসব মিটে যেতেই অভ্যন্তরীণ রদবদল নিয়ে তৎপরতায় নতুন আলোড়ন শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। দলীয় ঘোষণার সূত্র ধরে গুচ্ছ গুচ্ছ বদলের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে নানা স্তর থেকে। এই প্রক্রিয়া শুরুর আগেই গোষ্ঠী-ভিত্তিক টানাপড়েনে জড়িয়ে পড়েছেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা ও ব্লক স্তরের পদাদিকারীরা। জন্মদিনে ঘরোয়া আলাপচারিতায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রদবদল নিয়ে মত জানানোর পরে বিষয়টি জোরালো হয়ে উঠেছে।

মুখবদলের পরিকল্পনা হলেও তার রূপরেখা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু সেই পরিকল্পনার ঘোষণার সূত্রেই শাসক দলের অন্দরে নতুন করে কোন্দলের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, পছন্দ মতো বদলের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত, পুরসভা ও সংগঠন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সেই মতোই নিজের নিজের গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের নামের তালিকায় আসতে শুরু করেছে তৃণমূল ভবনে। একই ভাবে সেই প্রস্তাবিত তালিকা যাচ্ছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের দফতরেও। নীচের তলায় শুরু এই তৎপরতায় গোষ্ঠী-কোন্দলের সূচনা হয়েছে একাধিক জেলায়। ক্ষমতাসীন অংশের বদল চেয়ে নানা তথ্য ছড়াচ্ছে সমাজমাধ্যমেও। জেলা থেকে আসা এই সব চিঠির ভবিষ্যৎ যা-ই হোক না কেন, গোষ্ঠী-পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দলের নেতারা।

স্থানীয় প্রশাসনের পরেই দলীয় নেতৃত্বেও এই রবদলের প্রস্তাব রয়েছে তৃণমূলে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক জেলা সভাপতি বদল করার কথাও ভাবা হয়েছে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটে শহারঞ্চলে যে ধাক্কা এসেছে, তাতে পুরসভায় মুখবদলের এই প্রক্রিয়া অনিবার্য। তা করতে না-পারলে মানুষের আস্থা ফিরবে না। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও আমরা মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাও কার্যকর করতে হবে।’’ কিন্তু দলের অন্য একাংশ মনে করছে, এত পদে রদবদলে যে ‘বিদ্রোহ’ হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। তবে তা হলেও এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে অভিষেক অনড়। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভোটের ফলের নিরিখে তাঁর রদবদলের প্রস্তাব তৃণমূল নেত্রীর বিবেচনায় রয়েছে।

লোকসভা ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত ও পুরসভায় মুখবদলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। সেই হিসেবে ৭৪টি পুরসভা চিহ্নিত করা হলেও বদলের সিদ্ধান্তে মমতা এখনও ‘সিলমোহর’ দেননি। শীর্ষ স্তরের এই টানাপড়েনের মধ্যে জেলা স্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা সভাপতি, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের পাঠানো এই সব সুপারিশে গোষ্ঠী-রাজনীতি স্পষ্ট। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘সুপারিশের থেকেও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্থানীয় স্তরে ক্ষমতার জন্য সক্রিয়তা। যেখানে যে ক্ষমতার বাইরে আছেন, তিনি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।’’ ওই নেতার মতে, ‘‘বছর দেড়েকের মাথায় বিধানসভা ভোট। তার আগেই গোষ্ঠী-রাজনীতির এই টানাটানি এড়িয়ে মসৃণ ভাবে বিষয়টি সেরে ফেলা দরকার।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC TMC internal conflict

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।