Advertisement
E-Paper

জেলা সভাপতিদের মাথায় বসতে পারেন প্রাক্তনরা

বৈঠকে এক নেতা দ্বন্দ্বের বিষয়টি বলতে গিয়ে বলেছেন, পাশে বসে ছবি তুললেই ঐক্য প্রমাণ করা যায় না। সেই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, নিয়মিত পদাধিকারী বৈঠক হয় না।

জেলা সভাপতিদের ক্ষমতা খর্ব হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে।

জেলা সভাপতিদের ক্ষমতা খর্ব হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে। ফাইল ছবি।

বিপ্রর্ষি চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৫:৫০
Share
Save

এ বার জেলা সভাপতিদের ক্ষমতা খর্ব হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে। দুর্গাপুরে রাজ্য বিজেপির দু’দিনের কার্যনির্বাহী বৈঠকে ‘পছন্দের লোক’কে নিয়ে কাজ করা, সকলকে সঙ্গে না নেওয়া, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারা-সহ একাধিক অভিযোগে দলীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল জেলা সভাপতিদের। কাজ করতে না পারলে পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গল। বাস্তবে এখনই না সরালেও তাদের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হতে পারে কোর কমিটিকে। যে কমিটিতে সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলার জনপ্রতিনিধি ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে স্থান দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে জেলায় জেলায় নব্য-পুরোনো দ্বন্দ্বে কিছুটা লাগাম দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন নেতৃত্বের একাংশ।

সূত্রের খবর, বৈঠকে এক নেতা দ্বন্দ্বের বিষয়টি বলতে গিয়ে বলেছেন, পাশে বসে ছবি তুললেই ঐক্য প্রমাণ করা যায় না। সেই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, নিয়মিত পদাধিকারী বৈঠক হয় না। ফলে, নিচু তলার ক্ষোভ উপর তলা পর্যন্ত পৌঁছয় না। দীর্ঘ দিন ক্ষোভ জমতে জমতে এক সময়ে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। বৈঠকে এক নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বলে সূত্রের দাবি। ওই নেতার কথায়, ভোট পরবর্তী ‘সন্ত্রাসে’ অভিযুক্ত বড় মাথারা এখনও অধরা।

সূত্রের খবর, এক নেতা কেন্দ্রের থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পুরস্কার জেতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ গ্রামীণ প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা সরব হচ্ছেন, কেন্দ্র দল পাঠাচ্ছে। আবার তারাই পুরস্কার দিচ্ছে। ফলে, দুর্নীতির বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপির আন্দোলনের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকছে না। অপর এক নেতা জানান, বাংলায় বিজেপিকে গরিব মানুষের দল হয়ে উঠতে হবে। তাঁর মত, দলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল কর্মীর অভাব আছে। সূত্রের দাবি, ওই নেতা বলেছেন, নেতাদের কর্মী-বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সদিচ্ছার অভাব আছে।

সূত্রের খবর, বৈঠকে স্থানীয় বিষয় নিয়ে আন্দোলনে জোর দিতে বলেছেন নেতৃত্ব। জবাবি ভাষণে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করার জন্য তিনি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষরা রয়েছেন। স্থানীয় নেতাদের উচিত স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করা। তবেই নিচু তলায় সংগঠন বাড়বে। রাজ্য বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল নেতাদের ‘সক্রিয়তা’ বাড়ানোর কথা বলেছেন বলে সূত্রের দাবি।

District President TMC-BJP Conflicts Durgapur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।