প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের নিম্নগতি অব্যাহত আছে। রবিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৮৪ জন। কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা নেমেছে ১৮৫-তে। জেলা হিসেবে সংক্রমণের দিক থেকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে মহানগরী।
এই প্রবণতা যতই স্বস্তিকর মনে হোক, বিধি মানার ক্ষেত্রে যাতে কোনও শৈথিল্য না-আসে, সেই বিষয়ে বার বার সতর্ক করছেন চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসা-গবেষকেরা। দিনযাপনে করোনার স্বাস্থ্যবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার পাশাপাশি উপসর্গের দিকে সদা-সতর্ক নজরদারির উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, করোনার সামান্যতম উপসর্গ দেখলেও যেন কোনও ভাবেই তাকে উপেক্ষা করা না-হয়।
তবে সংখ্যায় কম হলেও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় এখনও প্রথমে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এ দিন সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩২ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রবিবার ওই জেলার পরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানে আক্রান্ত ২২৫ জন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে এর আগে সব সময় দ্বিতীয় স্থানে থাকা কলকাতা এ দিন নেমে এসেছে তৃতীয় স্থানে। ন’টি জেলায় দৈনিক আক্রান্ত পঞ্চাশের নীচে। রোজ আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ থেকে একশোর মধ্যে রয়েছে চারটি জেলায়। সাতটি জেলায় দৈনিক সংক্রমণ একশো থেকে দু’শোর মধ্যে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সংক্রমিতের সংখ্যা কমতে থাকায় সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যাও কমছে। তাতে মৃত্যুহারও নিম্নমুখী। তবে করোনার ন্যূনতম উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না-করে চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের জেরে বেশ কিছু জেলার বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন। করোনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে জলবাহিত রোগের প্রকোপের আশঙ্কা প্রবল। তাই উপসর্গ ন্যূনতম হলেও তাকে যাতে উপেক্ষা করা না-হয়, সেই জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন চিকিৎসকেরাও। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক, চিকিৎসক শান্তনু সেনের তত্ত্বাবধানে ওই সংগঠনেরই জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্কের অন্তত ৭০ জন চিকিৎসক এ দিন গোসাবায় গিয়ে স্বাস্থ্য শিবির চালু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy