বেলারানি অধিকারী। নিজস্ব িচত্র
উপ-নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে নিজের দল বিজেপিতে ফিরে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁর ওয়ার্ডে প্রচারে এসে ‘হিসাব মেলানো’র কথা বলে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। গোটা শহরে হিসেব মিলেছে। বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। অবশ্য ওই কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে হিসেব মেলেনি!
খড়্গপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের ফলে শেষ হাসি হেসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারী। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬৮৮ ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি। এ বার সেখানে পদ্মের লিড ১৮৬ ভোটের।
বহু বছর ধরে বিজেপির টিকিটে জিতে আসা বেলারানি ২০১৫ সালের পুরভোটেও পদ্ম প্রতীকেই জিতেছিলেন। তবে পুরবোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলে চলে যান তিনি। পুর-পারিষদের পদও পান। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বেলারানিকে তৃণমূলের প্রচারে দেখা যাচ্ছিল না। আর এ বার উপ-নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে এক সভায় দেখা গিয়েছিল বেলারানিকে। তিনি দলে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছিল বিজেপি। এর পরই বেলারানির ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে নির্বাচনের পরে হিসাব মিলিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, ওই ওয়ার্ডে জিতবে তৃণমূল। কিন্তু হয়নি। শহরের ২৪টি ওয়ার্ডে জিতে বিধানসভা দখল করেছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। কিন্তু হেরে গিয়েছেন বেলারানির ওয়ার্ডে। সেখানে এগিয়ে বিজেপি। অনেকেই বলছেন, শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি বুমেরাং হয়েছে ওই ওয়ার্ডে।
অবশ্য শুভেন্দুর হিসেব হার-জিতের অঙ্কে না মিললেও ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। লোকসভায় ২৬৮৮ ভোটে পিছিয়ে থাকলেও এ বার ঘাসফুল পিছিয়ে রয়েছে মাত্র ১৮৬ ভোটে। এ ক্ষেত্রে শহরের যে ৮টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি, তার মধ্যে বেলারানির ২৫নম্বর ওয়ার্ডের লিডকে বড় করে দেখছে বিজেপি। মুখ খুলেছেন বেলারানিও। তিনি বলছেন, “উনি (শুভেন্দু) অনেক বড় নেতা। আমি ছোট্ট একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাই ওঁর সঙ্গে আমাদের তুলনা হয়নি। তা ছাড়া, আমাদের সংস্কৃতি বা ভাষা ‘কাউকে দেখে নেব’ এমন নয়। তাই উনি বড় নেতা হয়ে যে ভাষায় কথা বলে গিয়েছেন তার জবাব মানুষ দিয়ে দিয়েছে। এর পরে উনি কী হিসাব মেলাবেন উনিই জানেন!”
কিন্তু আপনার ওয়ার্ডে বিজেপির লিড তো কমেছে? বেলারানির জবাব, “আমাদের সাংগঠনিক হয়তো সমস্যা ছিল। তাছাড়া রাজনৈতিক ও পারিবারিক সমস্যায় আমিও কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে যে দলের সঙ্গে এত বছরের যোগাযোগ সেখানে ফিরে এসেছি। তাতে মানুষ যে ভাবে পাশে থেকেছেন সেটুকুই যথেষ্ট।”
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের বক্তব্য, “বেলারানি অধিকারী মানুষের পাশে থাকেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন পরে এসে হিসাব বুঝবেন। উনি সেটাই করে থাকেন। তবে ওই ওয়ার্ডে মানুষ মানুষের রায় দিয়েছেন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি পাল্টা বলছেন, “ওই ওয়ার্ডে অনেক ভোটে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আর কয়েকটি ভোট আমাদের পেতে হবে কিছু সাংগঠনিক শ্রীবৃদ্ধি হলেই আমরা ওই ওয়ার্ডে লিড পাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy