উত্তর সিকিম থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে পর্যটকদের। —নিজস্ব চিত্র।
আবহাওয়ার খানিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ শুরু করল প্রশাসন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত মোট ন’জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে টুং থেকে। এটাই ‘প্রথম পর্যায়ের’ উদ্ধারকাজ বলে জানা গিয়েছে সিকিম প্রশাসন সূত্রে।
গত ১১ জুন থেকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক পথ। ডিকচু-সংকলন-টুং, মঙ্গন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিম এবং জংগু অঞ্চলে প্রাথমিক সংযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সংকলন সেতু। সেই সেতুই ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে। তার উপর খারাপ আবহাওয়ার দরুন আটকে থাকা পর্যটকদের বার করে আনার সমস্যা তৈরি হয়। তবে সোমবার থেকে যে পর্যটকেরা চুংথাংয়ে আটকে ছিলেন, তাঁদের দুপুর ১২টা নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে। টুং থেকে মঙ্গন হয়ে তাঁদের বার করে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর একত্রে হাত লাগিয়েছে যাতে নির্বিঘ্নে সমস্ত পর্যটককে উদ্ধার করে আনা যায়। টানা বৃষ্টি এবং একের পর এক ধসে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ওই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাই একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে, দফায় দফায় উদ্ধারের কাজ করছে প্রশাসন।
পাশাপাশি, তিস্তার এক নম্বর স্পারের ভাঙা অংশের মেরামতির কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় খানিক স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। কারণ, তিস্তার গতিপথ বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক। নদীর জল নতুন করে-না বাড়লে খুব শীঘ্রই ঘরে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশায় বুক বাঁধছেন পূর্ব ও পশ্চিম দলাইগাঁও ও সাহেববাড়ি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকেরা বিপদসঙ্কুল সড়কপথে হেঁটে সমতলের দিকে রওনা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy