ভোটার কার্ডের একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার নিয়ে কারচুপির অভিযোগে রাজ্য সরগরম। সে আবহে এ বার উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়ি— বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক ভোটারের এপিক নম্বরের সঙ্গে গুজরাতের কিছু বাসিন্দার এপিক নম্বর মিলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। তার উপরে, গুজরাতের এক ভোটারের ভোটকেন্দ্র দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভায় বলে ভোটার তালিকায় উল্লেখ থাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল। পক্ষান্তরে, যাবতীয় ত্রুটির দায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের উপরে চাপিয়েছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা অনুযায়ী, গুজরাতের গান্ধীনগরের বাসিন্দা কমল রজনীর এপিক নম্বর (এলপিজ়েড....৫৩৪) ভোটকেন্দ্র যেমন গুজরাতের ঘাটলোদিয়া বিধানসভার প্রকাশ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে, তেমনই দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভার পতিরাম গার্লস হাই স্কুলেও। ওই একই এপিক নম্বরে দক্ষিণ দিনাজপুরেরই কুশমণ্ডি বিধানসভার এক বাসিন্দার নামও রয়েছে। ঘাটলোদিয়া বিধানসভার ভোটার কেটি ডেভিসের এপিক নম্বরের (এলপিজ়েড....৬২৮) সঙ্গে মিলেছে বালুরঘাট পুর-এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার এপিক নম্বর। গুজরাতের গান্ধীনগর দক্ষিণ বিধানসভার ভোটার নবীন ঠাকোরের এপিক নম্বরের (এলপিজ়েড....৪০০) সঙ্গে শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকার এক বাসিন্দার এপিক নম্বর মিলে গিয়েছে। শিলিগুড়ির সেই বাসিন্দা বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা জানালেন। কী করব, বুঝতে পারছি না!’’
রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের অভিযোগ, ‘‘এ ভাবে কারচুপি করে বিজেপি লোকসভা ভোটে রাজ্যে নানা আসনে জিতেছে।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। মুখ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দেওয়া তিনটি নামের প্যানেল থেকেই তাঁকে নির্বাচন কমিশন বেছে নেয়। তা হলে কেন নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে তৃণমূল?’’ বিপ্লব পাল্টা বলেন, ‘‘আমাদের এখানকার আধিকারিকেরা গুজরাতের কারও নাম পাবেনই বা কী ভাবে?’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)