—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে লেখা কবিতা, সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ার। বিষয়টি জানাজানি হতেই শো-কজের মুখে পড়লেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ ব্লকের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপকুমার হীরাকে সোমবার শো-কজের চিঠি পাঠিয়েছেন বিডিও মনোজ কাঞ্জিলাল। চিঠিতে বিডিও জানতে চেয়েছেন, সরকারি পদে থেকে এই ধরনের পোস্ট করার জন্য কেন এই সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না! তিন দিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই সরকারি ইঞ্জিনিয়ারকে। নিয়মমাফিক বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাসকেও জানানো হয়েছে।
ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যঙ্গচিত্র ‘ফরওয়ার্ড’ করে ২০১২-র এপ্রিলে গ্রেফতার হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। তা নিয়ে তোলপাড় হয়। পরে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। তারপরেও এমন ঘটনা মাঝেমাঝে ঘটেছে। ক’দিন আগে মমতার ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে গ্রেফতার হয়েছিলেন হাওড়ার বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মা। বিষয়টি গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
এ বার নন্দীগ্রামের জেলায় এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের এমন পোস্ট ও শো-কজ ঘিরে শোরগোল পড়েছে। প্রদীপকুমার হীরার সঙ্গে এ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। তবে জানা গিয়েছে, ব্লক প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে তিনি জানিয়েছেন, ওই কবিতা তাঁর লেখা নয়। অন্য একজনের পোস্ট তিনি ‘শেয়ার’ করেছেন মাত্র। রামনগর ২-এর বিডিও মনোজ কাঞ্জিলাল অবশ্য স্পষ্টই জানিয়েছেন, এমন কাজ সরকারি কর্মী হিসেবে কোনও ভাবেই করা যায় না। বিডিও বলেন, “সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই ধরনের সমালোচনামূলক মন্তব্য করা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy