Advertisement
E-Paper

ভোট প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিতে জোর

প্রথমে ছিল ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র বা ইভিএম-ভিভিপ‍্যাটের কার্যকারিতা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে তরজা।

দিল্লির নির্বাচন সদন।

দিল্লির নির্বাচন সদন। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৪
Share
Save

ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিতর্কের আবহে সব বুথ স্তরের আধিকারিকদের (বিএলও) প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ, ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ার গোড়াপত্তন হয় তাঁদের হাত ধরেই। তালিকা ঠিক-ভুল হওয়ার দায়িত্ব অনেকাংশে থাকে তাঁদেরই। এ বার সামগ্রিক ভোট-প্রক্রিয়ায় তথ‍্যপ্রযুক্তির নিবিড় প্রয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাজ‍্য প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের আইন স্মরণ করিয়ে দিল দিল্লির নির্বাচন সদন। দু’দিনের সম্মেলন শেষে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের কৌশলও নিয়েছে কমিশন।

প্রথমে ছিল ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র বা ইভিএম-ভিভিপ‍্যাটের কার্যকারিতা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে তরজা। এই অবস্থায় ভোটারদের একটা অংশের মধ্যে কিছুটা হলেও উদ্বেগ যে তৈরি হচ্ছে, তা মানছেন জেলা আধিকারিক থেকে কমিশন কর্তাদের অনেকে। সব রাজ‍্যের মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে দু’দিন ধরে বৈঠক করেছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তাতেই কমিশন জানিয়েছে, তথ‍্য‍প্রযুক্তির নিবিড় প্রয়োগ করা হবে ভোট ব‍্যবস্থাপনায়। সব ধরনের তথ‍্য পেতে একজানলা একটি পদ্ধতি কার্যকর থাকবে সেখানে। প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব আধিকারিকেরা সেই ব‍্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। তা তথ্যের নির্ভুল যাচাই বৃদ্ধি করে ত্রুটি কমাতে সাহায্য করবে। রাজ‍্যের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণেই ভোটার তালিকায় গোলমাল হয়ে থাকে। এক সিরিজ়ের ভোটার কার্ড নম্বর নিয়ে যে বিতর্ক, তা-ও এর কারণেই। ফলে অভিন্ন একজানলা পদ্ধতি কার্যকর হলে তা সেই ধরনের গোলমাল ঠেকাতে পারবে।

কমিশনের বার্তা, ভুল তথ‍্য ছড়ানোর প্রবণতা ঠেকাতে হবে সিইও এবং জেলাশাসকের (জেলা নির্বাচনী আধিকারিক) স্তরে। ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সমাজমাধ‍্যমের ব‍্যবহারের উপরেও জোর দিয়েছে কমিশন। আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ বা বিতর্ক (রাজনৈতিক ভাবেও) তৈরি হলে পাল্টা ব‍্যাখ‍্যা সাধারণ ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চায় কমিশন। এরই সূত্র ধরে রিপ্রেজেন্টেশন অব দ‍্য পিপল অ‍্যাক্ট (১৯৫০,১৯৫১), ১৯৬০ সালের রেজিস্ট্রেশন অব ইলেক্টর রুল, কনডাক্ট অব ইলেকশন রুলের কথাও স্মরণ করিয়েছে কমিশন। এগুলি মেনেই যে সর্বস্তরের আধিকারিকদের (ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত) কাজ করতে হবে, তা-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}