পিছিয়ে গেল পুরভোট। ফাইল চিত্র ।
তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোট পিছনো নিয়ে রাজ্যের অনুরোধের পর শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানাল কমিশন। তবে গণনা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। কমিশন আরও বলেছে, আদালতকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে প্রচার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রচার নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বিধিনিষেধই বজায় থাকবে। নিয়ম মেনে প্রচার করা যাবে। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে বলেও কমিশনের সচিব জানিয়েছেন।
নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, কমিশন ভোট পিছিয়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই সরকারের। শনিবার নবান্নের চিঠি পাওয়ার পরে ভোট পিছনোয় শিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন।
কয়েক দিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান কোভিড আবহে যে কোনও ধরনের ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিত। তবে এটি তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার। কোভিড পরিস্থিতিতে এই পুরভোট নিয়ে আপত্তি তুলে অনেকে আদালতের দ্বারস্থ হন। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়। কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে হাইকোর্টের তরফে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় । তবে এ ব্যাপারে কমিশনকে ‘স্বাধীন সিদ্ধান্ত’ নিতে বলেও স্পষ্ট করে হাইকোর্ট।
শুক্রবার হাই কোর্টের রায় নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। তার উত্তরে শনিবার রাজ্য ভোট পিছনোর পক্ষে সায় দেয়। চিঠিতে তারা জানায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তত্পর রয়েছে রাজ্য। এখন কমিশন যদি কিছু দিনের জন্য ভোট পিছিয়ে দেয়, তাতে তাদের আপত্তি নেই। যদিও এর আগে আদালতে একাধিক বার ভোট পিছনোর বিরোধিতা করেছে নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy