বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল, তা ‘সন্তোষজনক’ নয়। রবিবার কলকাতায় জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এই ঘটনায় রাজ্যে সরকারের দিকেও আঙুল তুললেন তিনি। জানালেন, ঘটনার ‘দায়’ এড়াতে পারে না তৃণমূল সরকার।

ধর্মেন্দ্র জানিয়েছেন, র‌্যাগিং রুখতে বেশ কিছু নির্দেশ রয়েছে ইউজিসির। যেমন সিসি ক্যামেরা বসানো, র‌্যাগিংয়ের ঘটনা মোকাবিলার জন্য আলাদা সেল গঠন, পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার মতো পরামর্শ রয়েছে। এ সব কার্যকর করতে বিশ্ববিদ্যালয় কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রবিবার কলকাতায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘র‌‌্যাগিং রুখতে পরামর্শ কার্যকর করতে কী পদক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়, তার জবাব চেয়েছে ইউজিসি। ইউজিসি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আমরাও। কমিশনকে বিশ্ববিদ্যালয় যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তা সন্তোষজনক নয়।’’ তিনি এও জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং একেবারেই মানা যায় না।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসির দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই তাঁদের পক্ষে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং কেন কিছু পদক্ষেপ করা যায়নি।

গত রবিবার ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে রিপোর্ট চায় ইউজিসি। সোমবার রিপোর্ট পাঠান কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তরফে দাবি করা হয়, ওই রিপোর্টে ‘সন্তুষ্ট’ ইউজিসি। সে কারণে কথা থাকলেও বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসেনি ইউজিসির প্রতিনিধি দল। ইউজিসি যদিও সেই দাবি খারিজ করে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো রিপোর্টে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে তথ্য-সহ ১২টি প্রশ্নের জবাব তলব করে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় ইউজিসি। পরের দিন ফের জবাব পাঠায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, ৩১ ফাইলে তথ্য-সহ জবাব পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, বাম এবম অতিবাম সংগঠনগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনি কাজকর্ম করছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পদক্ষেপেরও আর্জি জানিয়েছেন শঙ্কু।