বাকিবুর রহমান। —ফাইল চিত্র।
শ্যালক এবং স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ওই সূত্রের খবর, বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস এবং স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন বাকিবুরই। যা থেকে তদন্তকারী সংস্থাটি মনে করছে, পরিবারের সদস্যদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার লেনদেন চালিয়েছিলেন বাকিবুর।
এর আগে ইডি সূত্রে জানা যায়, বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০-র বেশি সরকারি দফতরের সিলমোহর (স্ট্যাম্প) মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে এ-ও জানা যায় যে, খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০৯টি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে। সাড়ে ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর গত শুক্রবার বাকিবুরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বেরোয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর আরও ১১ ঘণ্টা জেরার পর শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ যা যা নথি উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, বাকিবুরের বিভিন্ন সংস্থায় ৫০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। একাধিক হোটেল, রিসর্ট, পানশালা রয়েছে এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর। পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েকটি রাইস মিলও।
রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে গত বুধবার সকাল থেকে ব্যবসায়ী বাকিবুরের কলকাতার কৈখালির ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ইডি। বাকিবুরের পাশাপাশি, তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের চিনার পার্কের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে জানা যায়, তল্লাশির পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় অভিষেককে। গত বুধবার ইডি গিয়েছিল নদিয়ার বিভিন্ন রেশন দোকান এবং দোকানের মালিকের বাড়িতে। একই দিনে সল্টলেক এবং নিউ টাউনের অনেকগুলি জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy