জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
চালকলের মালিকের থেকে ‘কমিশন’ নিয়েছেন রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু, তেমনটাই দাবি করছে ইডি। তাদের দাবি, চালকলের মালিকের থেকে ‘কমিশন’ বাবদ সম্পত্তি নিয়েছিলেন বালু। সেই সম্পত্তি নিজের নামে না রেখে দানপত্র হিসাবে লিখিয়ে নেন নিজের বাড়ির পরিচারকের নামে। এর সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, ওই চালকলের মালিকের বয়ান তারা নথিভুক্ত করেছে। সম্পত্তি গ্রহণের যাবতীয় নথিপত্রও তাদের হাতে এসেছে। বালুর পরিচারকের নামে সম্পত্তি ‘দানপত্র’ করিয়ে নেওয়ার কাগজ পেয়েছে ইডি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, চালকলের মালিকের কাছ থেকে ‘কমিশন’ হিসাবে টাকা না নিয়ে সম্পত্তি নিয়েছিলেন বালু। সেই সম্পত্তি নিজের নামে রাখেননি। পরিচারকের নামে দানপত্র লিখিয়ে নেন ওই চালকলের মালিকের থেকেই।
রেশন বণ্টনে ‘দুর্নীতি’ মামলায় তদন্তের স্বার্থে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের সল্টলেকের ফ্ল্যাটে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখান থেকে গভীর রাতে মন্ত্রীকে নিয়ে তারা ইডি দফতরে যায়। সকালে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। আদালতে মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশ কিছু দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ইডি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সোমবার বালুকে আরও সাত দিন ইডি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের বাইরে মন্ত্রী একাধিক বার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন। প্রতি বারই দাবি করেছেন তিনি নির্দোষ। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সোমবারও আদালত চত্বরে ইডির ঘেরাটোপ থেকে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি মুক্ত। ইডিও বুঝতে পেরেছে আমি মুক্ত।’’ আদালতে গিয়ে অবশ্য বিচারকের সামনে ‘নীরব’ই থেকেছেন বালু।
অন্য দিকে, জ্যোতিপ্রিয়ের পাশাপাশি, তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক-সহ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরও বার বার তলব করছে ইডি। সোমবার মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন, তাঁর মা এবং স্ত্রীকে একাধিক সংস্থায় ডিরেক্টর করা হয়েছিল। মন্ত্রীর নির্দেশেই সেই কাজ করা হয়েছিল। পরে তিনি আপ্তসহায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলে মা এবং স্ত্রীকেও সরিয়ে আনেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy