বিরাটিতে অরুণ সেনগুপ্তের এই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। —নিজস্ব চিত্র। শাহজাহান শেখ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের সঙ্গে চিংড়ির ব্যবসা করতেন, সেই ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে বিরাটির একটি বাড়িতে ইডির তল্লাশি চলছে। এই চিংড়ির সূত্রেই শাহজাহান পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীর নাম অরুণ সেনগুপ্ত। তিনি বিরাটির কমল পার্ক এলাকায় থাকেন। শাহজাহানের সূত্র ধরেই তাঁর নাম এসেছে ইডির আতশকাচের নীচে। ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুক্রবার সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চলছে।
অরুণের চিংড়ির ব্যবসা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি। চিংড়ি তিনি বিদেশে রফতানিও করেন। ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের কাছ থেকে চিংড়ি নিতেন বিরাটির অরুণ। সন্দেশখালিতে শাহজাহানের একাধিক মাছের ভেড়ি রয়েছে। সেখানে অন্যান্য মাছের সঙ্গে চিংড়ির চাষও হত। শাহজাহানের থেকে চিংড়ি নিয়ে তা বিদেশে রফতানি করত অরুণের সংস্থা।
এই সূত্রে ইডি অরুণের একটি সংস্থার কথাও জানতে পেরেছে, যার নাম ম্যাগনাম। মাইকেল নগরে ওই সংস্থার দফতর রয়েছে। অরুণের বাড়ির এক কর্মচারী জানান, ম্যাগনাম অরুণেরই সংস্থা। যদিও খাতায়কলমে তার ডিরেক্টর পদে নেই অরুণ।
শুক্রবার সকালে ইডি হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা মিলিয়ে মোট ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। শাহজাহানের সূত্র ধরেই এই জায়গার সন্ধান মিলেছে বলে খবর। হাওড়ার হালদারপাড়ায় আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুক্রবার গিয়েছে ইডি। তাঁর নাম পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এই ব্যবসায়ী চিংড়ির কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তবে শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর চিংড়ির লেনদেন হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।
রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ওই দিন ইডি তাঁর বাড়িতে ঢুকতেই পারেনি। বাড়ির বাইরে ইডি আধিকারিকদের মার খেতে হয়েছিল শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে। অভিযোগ, সে দিন বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান। পরে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। সেই থেকেই শাহজাহান নিখোঁজ। তাঁকে পুলিশ, ইডি কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালিতে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা এলাকায় অত্যাচার চালান। জোর করে গ্রামবাসীদের জমি দখল করে নেওয়া এবং সেখানে মাছের ভেড়ি গড়ে তোলার অভিযোগও রয়েছে।
শাহজাহানকে ইতিমধ্যে তিন বার তলব করেছে ইডি। এক বারও তিনি হাজিরা দেননি। আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের মামলা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy