রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেন ইডি-র তদন্তকারীরা। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই (পিএমএলএ) আদালতে ওই চার্জশিট জমা পড়ার কথা। গত ১০ অক্টোবর মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রভূত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে সঁপেছেন। এই দুর্নীতিতে টাকা পাচারের বিষয়টি তদন্ত করছে ইডি। মানিক গ্রেফতারি ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালত সিবিআইকে কড়া পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু ইডি-র বিষয়টি সেই নির্দেশে ছিল না। তাই মানিককে গ্রেফতার করতে ইডি-র সমস্যা হয়নি।
টাকা পাচারের মামলা হওয়ায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ (পিএমএলএ) মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। দুর্নীতির টাকা পাচারে মানিক ছাড়া আর কার কার নাম উঠে আসতে পারে তা নিয়ে জল্পনা আছে। প্রসঙ্গত, মানিক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। কার্যত পার্থর অনুমোদনেই মানিক প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন বলে খবর। পার্থ আমলের নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ। তাই মানিকের মামলায় পার্থ জড়াবেন কি না, তা নিয়েও জনমানসে কৌতূহল আছে।
ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-মানিক যোগসাজশের কিছু তথ্য হাতে এসেছে। দু’জনের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও দেখা হয়েছে। মানিকের ছেলে সৌভিকের ব্যাঙ্ক- লেনদেন নিয়ে ইডি-র জোরালো প্রশ্ন রয়েছে। কোনও কাজ না-করিয়েও কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছে ইডি।
প্রসঙ্গত, এই তদন্তে মানিক-ঘনিষ্ঠ এবং বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের কর্তা তাপস মণ্ডলের নাম উঠেছে। তাঁকে পাঁচ দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও, কয়েকটি বেসরকারি কলেজের কর্তার বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলি চার্জশিটে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক তদন্তকারী অফিসার জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের বিরুদ্ধে বিপুল তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। বরং আরও তথ্য উঠে আসতে পারে। মানিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের প্রায় ৩০ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলেছে। সেই সংক্রান্ত নানা তথ্য চার্জশিটে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy