আলিপুর চিড়িয়াখানায় তিন শিম্পাঞ্জি। ফাইল চিত্র
টাকা নয়, বাড়ি নয়। এমনকি, গাড়িও নয়! অবৈধ ভাবে টাকা পাচারের (পিএমএলএ) মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর সম্পত্তির তালিকায় ঢুকল আলিপুর চিড়িয়াখানার তিনটি শিম্পাঞ্জি এবং চারটি মার্মোসেট বাঁদর! আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে ইডি-র আধিকারিকেরা এসে শিম্পাঞ্জি ও মার্মোসেটের কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন।
ইডি সূত্রের খবর, সুপ্রদীপ গুহ নামে এক পশুপাখির ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ‘পিএমএলএ’ (প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) মামলা চলছে। তাতেই ওই প্রাণীগুলিকে ‘অ্যাটাচ’ করা হয়েছে। অর্থাৎ সেগুলি এখন সরকারি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। ইডি সূত্রের দাবি, এক-একটি শিম্পাঞ্জির বাজারদর প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। ফলে তিনটি শিম্পাঞ্জির মোট দাম ৭৫ লক্ষ টাকা। চারটি মার্মোসেট বাঁদরের মোট দাম ৬ লক্ষ টাকা। ইডি সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি মামলাতেও পশুপাখিকে সম্পত্তি বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে সুপ্রদীপবাবুর বাগুইআটির বাড়ি থেকে তিনটি শিম্পাঞ্জি ছানা ও মার্মোসেটগুলি উদ্ধার করেছিল শুল্ক দফতর এবং রাজ্য বন দফতর। সেগুলি কলকাতা হয়ে পাচার করার ছক ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। পরে সেগুলি চিড়িয়াখানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। চিড়িয়াখানার কর্মীরাই শিম্পাঞ্জি তিনটির নাম দেন, ছোটু, মস্তান, বাসন্তী। তবে মার্মোসেটগুলির কোনও নাম দেওয়া হয়নি।
ইডি সূত্রের দাবি, প্রথমে মামলাটি শুল্ক দফতরের হাতে থাকলেও পরে তা ইডির হাতে যায়। বাজেয়াপ্ত করা হলেও এত দিন শিম্পাঞ্জির মালিকানা নিয়ে জটিলতা ছিল। কিন্তু এখন তা সরকারি সম্পত্তি হয়ে গিয়েছে। সেই নথি আদালতেও জমা দেওয়া হবে। একটি সূত্রের দাবি, শুল্ক আইন অনুযায়ী, করের টাকা মিটিয়ে দিলে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি ফেরত পাওয়া যায়। কিন্তু পিএমএলএ মামলায় সম্পত্তি ‘অ্যাটাচড’ হয়ে গেলে তা ফেরত পাওয়া কার্যত অসম্ভব। তাই ছোটু-মস্তান-বাসন্তীর আলিপুরে ঠাঁই আরও পাকা হল বলেই মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy