পে-লোডারে ভাঙা পড়ল পৌষমেলার মাঠের পাঁচিল। ঢালাই মেশিন উল্টে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসও। ফাইল চিত্র।
পৌষমেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙা ও হামলার ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে আসে ইডির তিন সদস্যের একটি দল।
এ দিন সকাল ১১টা ৪৫ নাগাদ তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছয়। সেখানে উপাচার্যের দফতরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে ইডি-র তদন্তকারীদের দীর্ঘ বৈঠক হয়। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বৈঠকে নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারও উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও ইডি-র প্রতিনিধিরা দু’টি আলাদা গাড়িতে চেপে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ভুবনডাঙা বাঁধ সংলগ্ন মেলামাঠের যে প্রবেশদ্বারটি গত ১৭ অগস্ট জনরোষে ভাঙা পড়েছিল, তার ভগ্নাবশেষ ও বিশ্বভারতী নির্মিত অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের ভেঙে দেওয়া কাঠামো পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদল। যদিও একবারও গাড়ি থেকে নামেননি ইডি-র কোনও সদস্য।
ইডি সূত্রের খবর, ১৭ তারিখ পৌষমেলার মাঠে ট্রাক্টরে চেপে অত সংখ্যক লোকের জমায়েত, রাতারাতি পে-লোডার জোগাড় করে নিয়ে আসা— এ সবের পিছনে কোনও টাকা দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ দিন মেলামাঠ পরিদর্শনের পরে ওই পথ দিয়েই কলকাতা রওনা দেয় ইডি-র দল। এ দিনের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে দুই পক্ষের কেউই মুখ না খুললেও বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ অগস্টের ভাঙচুরের ফলে বিশ্বভারতীর আর্থিক ক্ষতি এবং সে দিনের ঘটনা নিয়ে এ দিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নথি, ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy