Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Primary Recruitmant Case

প্রাথমিক নিয়োগে ইডির স্ক্যানারে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির ধৃত দুই কর্মী, প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা

সিবিআইয়ের দাবি, এই সংস্থাটি অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এ বার ইডির নজরে সংস্থাটির দুই কর্মী। বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে যান ইডি আধিকারিকেরা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১২:০২
Share: Save:

প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় এ বার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থ সেন এবং কৌশিক মাজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’র অংশীদার কৌশিক। পার্থ ওই সংস্থারই কর্মচারী। প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় নামে ওই সংস্থাকে।

সিবিআইয়ের দাবি, এই সংস্থাটি অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এ বার ইডির নজরে সংস্থাটির দুই কর্মী। বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। সেখানেই পার্থ এবং কৌশিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। ইডি সূত্রের দাবি, ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী এই সংস্থাটির সঙ্গে প্রাথমিক মামলার আর এক অভিযুক্ত তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও সুসম্পর্ক ছিল।

কৌশিক এবং পার্থকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গত বছরের নভেম্বরে আদালতে সিবিআই দাবি করেছিল, অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির ধৃত দুই কর্মী কৌশিক এবং পার্থ কুন্তল ঘোষ এবং তাপস মণ্ডলের মতোই দোষী। প্রসঙ্গত, এর আগে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে, একাধিক মেল আইডি ব্যবহার করে চাকরি বিক্রির অভিযোগ এনেছিল সিবিআই।

আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে এস বসু রায় অ্যান্ড সংস্থার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। ওখানেই ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে নিয়োগে দুর্নীতি করা হয়েছিল। এই মামলায় ছয় অভিযুক্ত কোনও না কোনও ভাবে একে অপরের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ১২ জানুয়ারি পার্থ ও কৌশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রথম চার্জশিটে তাপস সাহা, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষের নাম ছিল। অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম জোড়া হয় কৌশিক এবং পার্থের। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এস বসু রায় সংস্থার মাধ্যমে যে ৭৫২ জন অকৃতকার্যের অতিরিক্ত প্যানেল তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ২৫৬ জন প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Primary Recruitment Case ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy