তাপসের ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করার জন্য চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। — ফাইল ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল আরও বিপাকে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে তিনি সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। এ বার তাঁর ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করার জন্য চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার মধ্যে তাপসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টও রয়েছে। রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপসের কলেজ সংগঠন এবং সংস্থার অ্যাকাউন্টও। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কলেজ সংগঠন এবং সংস্থার অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই মানিকের পুত্রের সংস্থার সঙ্গে লেনদেন হয়েছিল।
তাপসের ব্যক্তিগত, কলেজ সংগঠন এবং সংস্থা— এই তিন ক্যাটাগরির অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধের জন্য চিঠি দিয়েছে ইডি। তাপস-ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, প্রত্যেক ক্যাটাগরির অন্তত দু’টি করে অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেগুলির লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সেগুলিতে কয়েক লক্ষ টাকা ছিল বলে ওই সূত্রটির দাবি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপসের নাম প্রকাশ্যে আসে বিধায়ক মানিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর। তাপসের সঙ্গে মানিকের পুত্রেরও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পর বহু বার সিবিআই এবং ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাপসকে। তিনি যদিও প্রথম থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে অর্থ নেওয়ার ঘটনায় তদন্তকারীদের নানা তথ্য দিয়ে আসছেন বলে দাবি করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় শাসকদলের হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে।
তদন্তকারীদের তাপস জানিয়েছিলেন, তাঁর অফিস থেকে টাকা নিয়ে এজেন্টরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। পরে কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ওএমআর শিটের কপিও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। কুন্তল ছাড়াও নিয়োগ মামলায় টাকা লেনদেনে যুক্ত গোপাল দলপতির কথাও তদন্তকারীদের বলেছিলেন তিনিই। তাপসকে জেরা করেই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনের বৃহত্তর চক্রের সন্ধান পায় নিয়োগ মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy