অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবার ইডি-র কৌঁসুলি তথা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু এ বিষয়ে নারদ-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের ঘেরাওয়ের প্রসঙ্গ তুলেছেন।
আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাজুর আবেদন, কলকাতা পুলিশের তরফে যাতে ইডি-র তদন্তকারীদের সহযোগিতা করা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জানিয়ে, তত দিন পর্যন্ত ইডি-কে কোনও পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছর মে মাসে নারদ মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (বর্তমানে প্রয়াত), তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসের দফতরে এনেছিল সিবিআই। সে সময় উত্তেজিত জনতা নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখায়, সুপ্রিম কোর্টে সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে ইডি-র আইনজীবীরা বেলন, ‘‘অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় সিবিআই অফিসারদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও অভিযুক্ত খুবই প্রভাবশালী।’’
কয়লা পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত অভিষেককে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। রুজিরা এক বারও ইডি-র সামনে হাজির হননি। শেষ বার, গত ২১ এবং ২২ মার্চ অভিষেক ও রুজিরাকে দিল্লির ইডির দফতরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। তার আগেই সস্ত্রীক অভিষেক ইডি-র সমন জারির বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাই কোর্ট এই মামলায় কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি। এর পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তিনি।
বার বার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়ানোয় গত শনিবার রুজিরার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করে দিল্লির পটিয়ালা হাউস কোর্ট। আগামী ২০ অগস্টের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy