টানা তিন দিন তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত বুধ এবং বৃহস্পতিবারও তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুক্রবার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার হন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন শান্তনুকে প্রায় ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। বুধবারও প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। ইডি সূত্রের খবর, ওঁর বাড়িতে যে নথি মিলেছিল তা নিয়ে জেরায় মুখ খোলেননি তিনি। তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে লেনদেন হয়েছিল কি না, তা-ও জানাতে চাননি শান্তনু।
শুক্রবার কুন্তল বলেন, ‘‘শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথা আমি বলতে পারব না। আমি জানি না।’’ তিনি দাবি করেন, তাপসের সঙ্গে শান্তনুর আলাপ করিয়ে দেননি তিনি। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তাঁদের তিন জনের কোনও বৈঠক হয়নি বলেও জানান কুন্তল। প্রসঙ্গত, শান্তনু আগেই বলেছেন, দু’জনের বাড়ি বলাগড় এলাকায় হলেও তিনি কুন্তলকে চেনেন না! শুক্রবার শান্তনুকে জেরা করে এই দাবিগুলির সত্যতা যাচাই করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
গত ২০ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হুগলির বলাগড়ের বারুইপাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতা শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। অভিযানে শামিল ছিলেন ১২ জন আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশিতে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের বাড়ি থেকে একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও আছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার জানতে চান, বলাগড়েরই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর লেনদেন ছিল কি না। সেই জবাব তিনি দেননি বলেই ইডি সূত্রে খবর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তলকে। ‘অযোগ্য’দের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে তিনি টাকা নিতেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy