এ বারও মণ্ডপ দর্শকশূন্য হতে চলেছে। ফাইল চিত্র।
রাত জেগে ঠাকুর দেখা গেলেও পুজোর ক’টা দিন মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন না রাজ্যের মানুষ। গত বছরের মতো এ বারও দর্শকদের মণ্ডপের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টকে রাজ্য জানিয়েছে, মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ রাখার নির্দেশ দিলে তারা কোনও আপত্তি করবে না।
মহালয়ার আর পাঁচ দিন বাকি। কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে শুক্রবার একটি নতুন নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ রাখার নির্দেশ দিলে রাজ্য আপত্তি করবে না।
গত বছর অতিমারি পরিস্থিতিতে মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়। গত বারের ১৯ ও ২১ অক্টোবর দেওয়া নির্দেশ জারি রাখার আবেদন মেনে এ বারেও মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ থাকছে। ফলে এ বার দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজোর মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, পুজোর ক’দিন রাজ্যের মানুষ যাতে রাতে রাস্তায় বেরিয়ে ঠাকুর দেখতে পারেন, সে জন্য ১৪৪ ধারা শিথিল করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্য বিধিনিষেধ বজায় থাকবে। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে রাতে বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড় পাওয়া যাবে। তবে ছাড় মিললেও মণ্ডপ যে দর্শকশূন্যই থাকছে, তা শুক্রবার রাজ্যের তরফে স্পষ্ট করা হল।
আগের ঘোষণা মতো ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি ছিল রাজ্যে। বৃহস্পতিবার রাতের পর তা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে বর্তমানে যে সব করোনা বিধি নিষেধ রাজ্যে চালু রয়েছে, তেমনটাই চলবে অক্টোবর মাসেও।
অনেকে অবশ্য আশা করেছিলেন, অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে অনুমতি দিতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবারের বিজ্ঞপ্তির পরে এটা স্পষ্ট যে, এখনই লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচলের ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য। একই ভাবে মেট্রো রেলের চলাচলও নিয়ন্ত্রিত থাকছে অক্টোবর মাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy