বাজি বাজারে ভিড়।
নিম্নচাপের কালো মেঘ সরে গিয়েছে। আলোর উৎসবে ফানুস ওড়ানোয় আর বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বৃষ্টি।
শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। ফলে বাজির বাজারেও এ দিন জোয়ার এসেছে। গত তিন দিন ধরে বেজার মুখে বসে ছিলেন বিক্রেতারা। মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল ক্রেতাদেরও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, বঙ্গোপাসাগরে নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়েছে। ফলে আগামী কাল রবিবার এ রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তবে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা ওড়িশা থেকে অসম পর্যন্ত রয়েছে। তার প্রভাবে এ দিন বিকেলের পর দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছিলেন মৃৎশিল্পীরাও। এ দিন সকাল থেকে জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু মণ্ডপে প্রতিমা এসেও গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা পেতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি, কালীপুজোয় মমতার বাড়িতে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যপাল
উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম— কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাজি বাজার বসেছে। ক্রমশই সেখানে ভিড় বাড়ছে। পাওয়া যাচ্ছে পরিবেশবান্ধব বাজিও। প্রতি বারের মতো এ বারও নানা ধরনের বাজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুলিশের নজরদারি গত বারের থেকেও কড়া হয়েছে। ধড়পাকড়ের পাশাপাশি সচেতনতার উপরেও জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এ দিন ভবানীপুরে স্থানীয় বাসিন্দা এবং তাঁদের পোষ্যদের নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয় পুলিশের তরফে। শব্দবাজি এবং নিষিদ্ধ বাজি পশুপাখিদের জন্যে কতটা বিপজ্জনক তা বোঝানো হয়।
অন্য দিকে, বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সাত ডিগ্রি কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। আগামী কয়েক দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে। গত কয়েক দিনে ভোরের ভোরের দিকে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাচ্ছে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে শীতের আগমন ঘটেনি।
আরও পড়ুন: আধাআধি মুখ্যমন্ত্রিত্ব চেয়ে বিজেপিতে চাপে ফেলল শিবসেনা, চাইল লিখিত প্রতিশ্রুতিও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy