অমর্ত্য সেনগুপ্ত।
এমবিবিএস চিকিৎসকদের স্নাতকোত্তরের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার দু’টি ক্ষেত্রেই এ বার শীর্ষে বাংলা। সম্প্রতি ‘ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স-কম্বাইন্ড এন্ট্রান্স টেস্ট’ (আইএনআই) পরীক্ষাতে প্রথম হয়েছেন হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা, চিকিৎসক অমর্ত্য সেনগুপ্ত। ‘নিট-পিজি’ পরীক্ষাতেও তাঁর স্থানটি সবার শীর্ষে।
এমবিবিএস পাশ করার পরে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য ওই দু’টি পরীক্ষা হয়। দিল্লির এমস, পুদুচেরির জিপমার মেডিক্যাল কলেজ এবং পিজিআই চণ্ডীগড়—এই তিনটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য আইএনআই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়। আবার অন্যান্য কলেজে ভর্তির জন্য রয়েছে ‘নিট-পিজি’ প্রবেশিকা পরীক্ষা। ওই দু’টি পরীক্ষাতেই বসেছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস অমর্ত্য।
গত জুলাইয়ে আইএনআই-এ বসেছিলেন দেশের ৮০ হাজার চিকিৎসক। সেই পরীক্ষায় প্রথম হন অমর্ত্য। তখন তিনি এমস-এ সার্জারিতে (এমএস) ভর্তি হন। সেপ্টেম্বরে ‘নিট-পিজি’ পরীক্ষাতেও বসেন। তাতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তার ফল প্রকাশ হয়। সেখানেও প্রথম ওই তরুণ চিকিৎসক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি ওই হাসপাতাল থেকে ইর্ন্টানশিপ শেষ করেছেন অমর্ত্য।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা গর্বিত। করোনার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও অমর্ত্য তাঁর লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। এক দিকে রোগীদের চিকিৎসা, অন্য দিকে পরীক্ষার প্রস্তুতি।’’ ব্যান্ডেলের কোদালিয়ার বাসিন্দা আইনজীবী সুশোভন সেনগুপ্ত এবং মধুমিতা সেনগুপ্তর একমাত্র সন্তান অমর্ত্য। তাঁর জেঠু চিকিৎসক।
এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে অমর্ত্য বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে চাপ তো ছিলই। তার মধ্যেই যখন যেমন সময় পেতাম, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতাম। বাঁধাধরা কোনও সময় ছিল না। এমস-এ সুযোগ পাওয়ার পরেও ভাবলাম, আবেদন যখন করেছি তখন ‘নিট-পিজি’ পরীক্ষাটাও দিই।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দু’টি পরীক্ষাতেই দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ার জন্য ওঁকে অনেক অভিনন্দন। বাংলার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy