Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India Jagdeep Dhankhar

মমতার পাশে কংগ্রেস, ধনখড়কে কটাক্ষ করে ঝাঁঝালো টুইট অভিষেক সিঙ্ঘভির

করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে শুরু হওয়া চাপানউতোরের জেরে গত দু’দিনে বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে।

ধনখড়কে কটাক্ষ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির।

ধনখড়কে কটাক্ষ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৯:০৯
Share: Save:

এ বার কংগ্রেসের নিশানায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য সরকার বেশ কিছু দিন ধরেই নানা ইস্যুতে সমালোচনা করছে রাজ্যপালের। প্রদেশ কংগ্রেস সে সুরে খুব একটা সুর মেলায়নি। কিন্তু দলের সর্বভারতীয় স্তরের নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মঙ্গলবার প্রবল আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে। রাজ্য চালানোর জন্য যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে শত্রুতা করা রাজ্যপালের কাজ নয়— টুইটারে লিখলেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী সাংসদ।

এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ টুইট করেছেন এ রাজ্য থেকে যাওয়া রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। রাজ্যপাল পদে থেকে সব বিষয়ে যে কথা বলা যায় না, সে কথা এ দিনের টুইটে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। রাজ্যপাল যদি কিছু বলতেই চান, তা হলে সে কথা ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ এবং ‘সরকারি চিঠির মাধ্যমে’ জানানো উচিত বলেই টুইটে লিখেছেন সিঙ্ঘভি।

রাজ্যপালদের কর্মপদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত, তা খুব স্পষ্ট ভাবে নিজের টুইটে এ দিন মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ওই সাংসদ। তিনি লিখেছেন, ‘‘তাঁরা রাজত্ব করেন, কিন্তু শাসন করেন না (রাষ্ট্রপতি শাসন বা সরকার গঠনের সময় ব্যতীত)।’’ সিঙ্ঘভি লিখেছেন, ‘‘তাঁদের (রাজ্যপাল) উচিত সত্যিকারের বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং পথপ্রদর্শক হওয়া, যাঁরা সরকার চালানোর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হওয়া নয়।’’

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির টুইট।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় দলকে সহযোগিতা করা উচিত রাজ্যের, টুইট ধনখড়ের

দেশের অন্যান্য রাজ্যের রাজ্যপালদের কথা ভেবে যে এই টুইট তিনি করেননি, তা-ও সিঙ্ঘভি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নিজের টুইটে এ দিন তিনি যে হ্যাশট্যাগগুলি ব্যবহার করেছেন, সেগুলির মধ্যে ‘ধনখড়’ কথাটিও রয়েছে।

করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে শুরু হওয়া চাপানউতোরের জেরে গত দু’দিনে এমনিতেই বাংলায় কিছুটা বেড়েছিল রাজনৈতিক উত্তাপ। তার মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একের পর এক টুইট করতে শুরু করেন। সোমবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন এবং লকডাউন, রেশনের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন, করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসা— চিঠিতে এমনও লেখেন রাজ্যপাল। তার পরে সে চিঠি টুইটারে প্রকাশ করে দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত সংবিধান মেনে চলা বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করছে— এমন নানা কথাও সে টুইটে লেখেন তিনি।

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির টুইট।

এর পরে মঙ্গলবার সকালে ফের টুইট করেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে, তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সহযোগিতা করুন— টুইটারে এই পরামর্শই দেন ধনখড়।

আরও পড়ুন: কলকাতায় র‌্যাপিড টেস্টে ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সব টুইটের জবাব দেননি। রাজ্যপালের নানা টুইট বা মন্তব্যের জবাব তৃণমূলের তরফে কোনও কোনও নেতা দিচ্ছিলেন। কিন্তু শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি।

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির টুইট।

মঙ্গলবার রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের শাসক দলের সমর্থনে টুইট হল এমন শিবির থেকে, যা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি কড়া টুইট করলেন। রাষ্ট্রপতি শাসন বা সরকার গঠনের সময় ব্যতীত অন্য সময়ে রাজ্যপালের কাজ শুধু শোভাবর্ধন করা, এমন ইঙ্গিতই দিলেন টুইটে। পশ্চিমবঙ্গে আচমকা কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্তকেও কটাক্ষ করেছেন সিঙ্ঘভি। পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এই ‘বিশেষ স্নেহ’ কেন? শ্লেষের সুরে প্রশ্ন ছুড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE